ঝুঁকিতে ভোলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ

ভোলার আবহাওয়া পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার মাঝের চর, কাজির চর, কলাতলীর চর, ঢালচর, চর নিজাম, কুকরি মুকরি, মজিবনগরসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলে তিন থেকে পাঁচ ফুটের বেশি জোয়ারের পানি উঠেছে। ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কয়েকটি পয়েন্ট। এসব এলাকার বাঁধ ভেঙে পানি যাতে লোকালয়ে ঢুকতে না পারে সে জন্য সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, ভোলা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. বাবুল আক্তার বলেন, পানি বৃদ্ধি পেলে অনেক সময় আমাদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমাদের ৫৩ কিলোমিটার বাঁধ সিসি ব্লক দ্বারা সংরক্ষিত আছে। ১৫ কিলোমিটার বাঁধ জিও ব্যাগ দ্বারা সংরক্ষিত আছে। আর বাকিগুলোর মধ্যে যেখানে দুর্বল ‍ছিলো সেগুলো মেরামত করেছি। এছাড়া ৩৫ হাজার জিও ব্যাগ এখনো প্রস্তুত আছে। যেকোনো দুর্যোগ আসলে আমরা মোকাবেলা করতে পারবো। সেজন্য আমরা পরিপূর্ণ প্রস্তুত আছি।

এছাড়া ভোলায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় প্রস্তুতির অংশ হিসেবে জেলেরা নিরাপদ আশ্রয়ে আসা শুরু করেছে। এখনো কিছু জেলে সাগরে রয়েছে। তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার জন্য কাজ করছে প্রশাসন। উপকূলীয় এলাকার মানুষদের অনেকে আবার ব্যক্তিগতভাবেও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সব মিলিয়ে প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষ সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় চোখ-কান খোলা রেখে সতর্ক অবস্থানে আছেন। 

উল্লেখ্য, জেলার ৭ উপজেলায় ৭ শত ৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এতে অন্তত ৫ লাখ মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কেন্দ্রের মাধ্যমে জেলায় ১০ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক ইউনিয়ন এবং গ্রাম পর্যায়ে মানুষদেরকে সতর্ক করছেন। জরুরি সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭৬টি মেডিকেল টিম।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

বিষয় : ভোলা ইয়াস

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //