যমুনা সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে মরে যাচ্ছে নদীর মাছ

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার তারাকান্দিস্থ যমুনা সার কারখানার বিষাক্ত গ্যাস ও বর্জ্যে মরে যাচ্ছে নদীর মাছ। দূষিত পানির জন্য চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, ১৯৯১ সালে যমুনা সার কারখানা প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য ও দুষিত অ্যামোনিয়া কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই ছাড়া হয়। বিষাক্ত বর্জ্য প্রায়ই পার্শ্ববর্তী নদী, বিল ও পুকুরের পানিতে মিশে এবং গ্যাস বাতাসে মিশে এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে ঠিকমতো মাছ ও ফসল চাষাবাদ করতে পারছেন না স্থানীয়রা। লোকজনদের শ্বাসকষ্ট, চর্ম ও চোখের সমস্যায় ভোগতে হচ্ছে। মরে যাচ্ছে এলাকার গাছপালা।


বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যমুনা সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য রাতের অন্ধকারে পার্শ্ববর্তী যমুনা নদীতে ছাড়া হয়। ফলে নদীতে থাকা ছোট-বড় নানা প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠে। পোগলদিঘা ইউনিয়নের বয়ড়া ব্রিজপাড়ে গিয়ে দেখা যায়, বোয়াল, বাউশ, কাতলা, আইড়, চিতল, টেংরাসহ দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ ধরতে এলাকার হতদরিদ্র লোকজন ভিড় করেছে। তারা ভেসে ওঠা মরা মাছ কুড়িয়ে বাড়ি নিয়ে যায়।

এদিকে পচা পানিতে ভিজে অনেকের শরীরে লালচে ও চাকাচাকা দাগ দেখা দেয় ও জ্বালাপোড়া শুরু করে। বিষাক্ত বর্জ্যের কারণে ৫০ লক্ষাধিক টাকার মাছ মরে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


এ ব্যাপারে কারখানার মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মঈনুল হোসেন বলেন, যমুনা সার কারখানার বর্জ্য নদীতে যায় না, কারখানার পানি যায়। তবে পানি বিষাক্ত না হলে মাছ মরে যায় কেন- এ ব্যাপারে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।

এদিকে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার সুতপা ভট্টাচার্য বলেন, যমুনা সার কারখানার বর্জ্যে নদীর মাছ মরে যাওয়ার কোনো তথ্য আমার কাছে নেই, খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //