সরিষাবাড়ীতে হোটেলের খাবার খেয়ে অসুস্থ অর্ধশতাধিক

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে হোটেলের নিম্নমানের খাবার খেয়ে শিশু ও নারীসহ অর্ধশতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গতকাল রবিবার (৭ জুন) দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত অন্তত ২৫-৩০ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। 

গতকাল সকালে সরিষাবাড়ী পৌরসভার বাউসি পঞ্চপীর বাজারে লালু মিয়ার হোটেলের খাবার খেয়ে এ ঘটনা ঘটে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার সকালে পঞ্চপীর বাজারের লালু মিয়ার হোটেলে নাস্তা করে স্থানীয় লোকজন। সেখানে খাবার গ্রহণকারী অনেকের দুপুর থেকে পেট ব্যথা, বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। একপর্যায়ে তা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে ও রাত পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। একে একে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। অসুস্থদের মধ্যে শিশু ও নারীর সংখ্যাই বেশি।

আজ মঙ্গলবার (৮ জুন) দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি আছেন- সুমি, আব্দুল আজিজ, ফাতেমা বেগম, লাল ভানু, হোসনে আরা, ইউনুস মিয়া, মনির উদ্দিন, শাহাজাহান, স্বাধীন মিয়া, জাকির হোসেন, রাতুল, মার্জয়া, তামিম, মিষ্টি, রিয়া মনি, সাব্বির হোসেন, জুবাইর, আলম মিয়া, বিদ্যুৎ, আব্দুল হক, মজনু মিয়া, সিয়াম, আজিজুল, সিরাজ উদ্দিন, লাল মিয়া, জামিনুর, রাকিব মিয়া, ফাহাদ, ফরিদ মিয়া, তারা মিয়া, আশরাফ ফারুকী। 

এছাড়াও গুরুতর অসুস্থ কয়েকজনকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

পঞ্চপীর এলাকা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু মিষ্টি ও তানিয়ার মা সুমি বেগম জানান, আমার দুটি বাচ্চা তাদের দাদার সাথে লালুর খাবার হোটেল সকালে নাস্তা করতে যায়। নাস্তা খেয়ে বাড়িতে ফিরলে পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া শুরু হয়। অবস্থা গুরুতর হলে বাচ্চা দুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিম্নমানের ও পচা-বাসি খাবারের কারণে এ অবস্থা হয়েছে বলে তার অভিযোগ।

বাউসি থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মজনু, সিরাজ, জামিনুরসহ কয়েকজন জানান, লালুর দোকানে নিম্নমানের খাবার ছিল। সব হোটেলে নিয়মিত ইন্সপেক্টরের তদারকি থাকলে হোটেল মালিক এমন করতে পারতো না বলে ভুক্তভোগীরা জানান। 

এদিকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা হাসপাতালের সঠিক চিকিৎসা ও সেবা পাচ্ছে না বলেও অনেকেই অভিযোগ করেন। 

এ ব্যাপারে হোটেল মালিক লালু মিয়া বলেন, অনেকদিন ধরে হোটেল ব্যবসা করি। এমন কখনো হয়নি। ময়দা ও তেল বাউসি বাজারের মুদি দোকানি বাসেদের কাছ থেকে কিনে এনেছি। তার ওইসব পণ্যতে সমস্যা থাকতে পারে বলে তিনি অভিযোগ এড়িয়ে যান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফুল ইসলাম বলেন, দুপুরের পর থেকেই পেট ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী আসতে থাকে হাসপাতালে। মধ্যরাত পর্যন্ত রোগী আসে। খাবারের মান ভালো না থাকায় তাদের বিষক্রিয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //