শেরপুরে করোনা পরিস্থিতির অবনতি, ১৪ দিনের লকডাউন

সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত মাসের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা তিন গুণ। জেলায় মে মাসে ৬৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। আর জুন মাসের প্রথম ১০ দিনেই ৮০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ৬৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় জেলার শীর্ষ কর্মকর্তাদের এক জরুরি বৈঠক জেলা প্রশাসকের বাসভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বৈঠকে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১১ জুন সকাল ৬টা থেকে ২৪ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন ও বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়। বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বিধিনিষেধগুলো হচ্ছে- করোনায় আক্রান্তের বাড়ি পুরোপুরি লকডাউনে থাকবে। আক্রান্ত ব্যক্তি ও তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না। সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, বিবাহ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক স্পট, পর্যটন ও পার্ক বন্ধ থাকবে। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ওইসব দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ করে দেয়া হবে।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টার মধ্যে বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে না। হোটেল রেস্তোরাঁয় কেউ বসে খেতে পারবেন না। শুধুমাত্র পার্সেল নেয়া যাবে। সিএনজি, অটোরিকশাসহ ক্ষুদ্র যানবাহনে দুই জনের বেশি যাত্রী ওঠানো যাবে না। যাত্রীবাহী যানবাহনে অর্ধেকের বেশি যাত্রী ওঠানো যাবে না। আর সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনোয়ারুর রউফ জানান, আমরা সবার সঙ্গে পরামর্শ করে কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছি। আগামী রবিবার আবার বসব। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং প্রশাসনের কাউকে লকডাউন সফল করতে দেখা যায়নি। ফলে কোন রকমের আইন না মেনে সর্বসাধারণকে ঘোরাফেরা করতে দেখে গেছে। মানুষজনকে মাস্ক ছাড়া ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //