কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ইসিজি করা হয় মোমবাতি জ্বালিয়ে

লোডশেডিং হলেই অন্ধকারে থাকতে হয় রোগীদের। এ ছাড়াও ঝড়ে বৈদ্যুতিক তার ক্ষতিগ্রস্ত হলে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন থাকতে হয়। সেই সঙ্গে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সও থাকে অন্ধকারে। বিদ্যুৎ না থাকায় ইসিজি করা হয় মোমবাতি জ্বালিয়ে এমন চিত্রও দেখা গেছে হাসপাতালটিতে। 

জানা গেছে, হাসপাতালের জেনারেটরটি দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এটি মেরামত করার জন্য তেমন কোনো উদ্যোগ নেননি বলে আগত রোগী ও স্থানীয়রা জানান। সম্প্রতি উপজেলার মহেশ্বর চাঁদা গ্রামের মোহাম্মদ আলী বজ্রপাতে আহত হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আসার দীর্ঘ দুই ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালের মর্গে মোমবাতি জ্বালিয়ে ইসিজি করা হয়। এরপর জানা যায় তিনি মারা গেছেন। 

মোহাম্মদ আলীর ভাইপো মিঠু মালিথা জানান, তার চাচাকে হাসপাতালের মর্গে নিয়ে আসার দুই ঘন্টা পর মোমবাতি জ্বালিয়ে ইসিজি করা হয়। ইসিজি করার পর চিকিৎসকরা চাচাকে মৃত ঘোষণা করেন। সরকারি হাসপাতালে মোমবাতি জ্বালিয়ে ইসিজি করার ঘটনা আসলেই বিরল। তিনি হাসপাতালের অকেজো জেনারেটর মেরামত করার দাবি জানান। 

হাসপাতালটির পুরুষ ওয়ার্ডে ভর্তি কোলা বাজার এলাকার মুহিত নামে এক রোগী জানান, আমরা এর মধ্যে সাত  ঘন্টা অন্ধকারে ছিলাম। হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার আলোর ব্যবস্থা করা হয়নি। 

মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি উপজেলার বেজপাড়া এলাকার শীতা রাণীর স্বজন মিতা রাণী বলেন, দীর্ঘসময় হাসপাতাল অন্ধকারে ছিল। নিজেরা মোমবাতি কিনে জ্বালিয়ে খাওয়াসহ বিভিন্ন কাজ করেছি। 

তিনি আরও বলেন, মোমবাতি না কিনলে রোগীকে ওষুধ দিবেন না বলে হাসপাতালের নার্সরা স্বজনদের বলেছিলেন। 

এ ব্যাপারে জানতে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা শিরিন লুবনার মুঠোফোনে জেনারেটর বিষয়য়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে আসতে হবে। মুঠোফোনে কোনো তথ্য দিবো না বলে ফোন কেটে দেন তিনি। জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম জানান, এ ব্যাপারে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জেনারেটর বিষয়ে কিছুই জানাননি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //