বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের আগেই নদী গর্ভে সড়ক

শেরপুরের নকলা উপজেলা উরফা ইউনিয়নের পিছলাকুরি তারাকান্দা বাজারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের আগেই নদী গর্ভে ভেঙে পড়েছে সড়ক। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি গ্রামের জনগণ। 

জানা গেছে, সম্প্রতি পাহাড়ি ঢলের  স্রোতে গত ২ জুলাই নকলার পিছলাকুরা তারাকান্দা এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হলে শেরপুর জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশিদ পরিদর্শনে যান। পরে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীসহ অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক হীরাকে দ্রুত ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। 

এরপর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক হীরা অস্থায়ীভাবে বাঁশ ও বালুর বস্তা ফেলে পানিরস্রোত নিয়ন্ত্রণ ও রাস্তার ভাঙনরোধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেন। 

এদিকে পাহাড়ি ঢলের বন্যার পানি কমতে শুরু করলে গতকাল রবিবার (২৫ জুলাই) রাতে নির্মাণাধীন সেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস নামে এবং বাঁধের পাড়ের সড়ক ভেঙে নদী গর্ভে চলে যায়। 

এ বিষয়ে নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর  রহমান বলেন, উরফা ইউনিয়নের পিছলাকুরি তারাকান্দা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের জন্য এলজিইডি ও পানি উন্নয়ন বোর্ড একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং বর্ষার পরেই কাজ শুরু হবে।

শেরপুর জেলা  নির্বাহী প্রকৌশলী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, উরফা ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও বাঁধের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড স্থায়ী  ও টেকসই বাঁধের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। 

উরফা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক হীরা বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় এই অঞ্চলের মানুষেরা চরম আতংকে রয়েছে। তাই স্থায়ী ও টেকসই বাঁধের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করা হয়েছে। 

এলাকাবাসীরা জানায় সরকার যেন দ্রুত এই রাস্ত ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করে।