সিনহা হত্যা মামলায় পঞ্চম ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

কক্সবাজারের টেকনাফে আলোচিত মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার নির্ধারিত পঞ্চম ধাপের প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

আজ রবিবার (১০ অক্টোবর) সোয়া ১০টার দিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাঈলের আদালতে ২১তম সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণের মধ্যদিয়ে শুরু হয় বিচারিক কার্যক্রম।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হাজির করা হয় ওসি প্রদীপসহ এ মামলার ১৫ আসামিকে। 

পঞ্চম ধাপে ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে। এর আগে ২৮-২৯ সেপ্টেম্বর মামলার চতুর্থ দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে এই মামলার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ দফা সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত হলো। এ মামলায় ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে চার দফায় মোট ২০ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম বলেছেন, ২১তম সাক্ষীর মধ্যদিয়ে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। আগের একজনের জেরা বাকি রয়েছে। সেটাও আজ শেষ করা হবে। আজকে ১০ জন সাক্ষীকে উপস্থাপন করা হবে।

২৮-২৯ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য নেয়া হয় ছেনুয়ারা বেগম, আলী আহমদ, হাম জালাল, ফরিদুল মোস্তফা, সালেহ আহমদ ও বেবি বেগমের। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত চতুর্থ দফায় এ মামলায় ২০ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি দিয়েছেন। 

তৃতীয় ধাপের প্রথম দিন সাক্ষ্য দেন আব্দুল হামিদ, মোহাম্মদ ফিরোজ ও শওকত আলী নামে তিনজন। দ্বিতীয় দিন সাক্ষ্য দেন মারিশবনিয়া মসজিদের ইমাম হাফেজ জহিরুল ইসলাম ও ডা. রণবীর দেবনাথ। তাদের ১৫ আসামির আইনজীবী জেরা করে।

গতবছর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর মেরিনড্রাইভ চেকপোস্টে গুলি করে হত‌্যা করা হয় সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে।

এ ঘটনায় সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস ৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ নয় পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলার তদন্তভার দেন র‌্যাবকে।

আসামিদের মধ্যে সাতজন পরদিন কক্সবাজারের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন জন সাক্ষী ও শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও গ্রেফতার করা হয়।

এ মামলায় ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।

মামলায় গ্রেফতার ১৪ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল ছাড়া ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।