ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতায় বাড়ছে পর্যটক

দেশের পর্যটন শিল্পে গতি আনার লক্ষ্যে ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। পুলিশ বিভাগের বিশেষ এই ইউনিটটি নিয়মিত পুলিশেরই একটি অংশ। ট্যুরিস্ট পুলিশের সব কার্যক্রম পরিচালিত হয় পর্যটকদের ঘিরে।

করোনা মহামারির মধ্যে দেশের পর্যটন শিল্প যখন ক্ষতিগ্রস্ত, সে সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতায় বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখতে দিন দিন পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশ বাগেরহাট ও সুন্দরবন জোনের সদস্যরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করায় এ সফলতার বলে মনে করছেন পর্যটকসহ সংশ্লিষ্টরা। 

পর্যটকদের জন্য ২৪ ঘণ্টা সেবা নিশ্চিত করতে ট্যুরিস্ট পুলিশ গ্রহণ করেছে নানা পদক্ষেপ। এর মধ্যে ট্যুর অপারেটর হোটেল-মোটেল, পর্যটন এলাকায় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিয়মিত যোগাযোগ করাসহ দর্শনার্থী ও পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া জরুরি তথ্য কেন্দ্রসহ ফেসবুক পেজ, অ্যাপস, হটলাইন নাম্বারের মাধ্যমে পর্যটকদের সেবা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। ট্যুরিস্ট পুলিশের এমন সেবায় খুশি দর্শনার্থীরা। 

পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদের নেতৃত্বে সুন্দরবনকে ঘিরে চলছে এ খুলনা রিজিয়নের কার্যক্রম। টুঙ্গিপাড়া, বাগেরহাট, সুন্দরবন, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়াকে নিয়ে করা হয়েছে পাঁচটি জোন অফিস। 

ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রাঙ্গণেও টুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা দেখা যায়। আগত দর্শনার্থীদের নানা পরামর্শ ও খোঁজ খবর নেওয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা আলি কদর নামের এক দর্শনার্থী বলেন, পরিবার পরিজন নিয়ে প্রথমে খানজাহানের মাজারে নেমেছি। সেখান থেকে ষাটগম্বুজে আসার সময় ট্যুরিস্ট পুলিশ ভাইরা আমাদের পথ চিনিয়ে দিয়েছেন। মোংলায় যাওয়ার জন্যও তারা আমাদের পথ দেখিয়েছেন। তাদের এই আন্তরিকতায় আমাদের উপকার হয়েছে। 

ষাটগম্বুজ এলাকার ভ্রাম্যমাণ ফটোগ্রাফার সোহেল বলেন, একটা সময় ছিল ষাটগম্বুজ এলাকায় দর্শনার্থীদের স্থানীয়রা হয়রানি করত। ইভ টিজিংয়ের শিকারও হতো মেয়েরা। কারণ গেটে আনসার সদস্য ছাড়া এখানে নিরাপত্তা বিধানের কোনো ব্যবস্থা ছিল না; কিন্তু ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা আসার পর থেকে এখানে কোনো ধরনের হয়রানি হয় না। এখন দর্শনার্থীও বেড়েছে। আমরাও নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারছি। 

ট্যুরিস্ট পুলিশ খুলনা অঞ্চলের পুলিশ সুপার দেওয়ান লালন আহমেদ বলেন, বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ এলাকার দর্শনার্থীদের সেবা প্রদানের জন্য আমাদের আলাদা দুটি জোন রয়েছে। আমাদের সদস্যরা সব সময় ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়োজিত থাকে। ফলে এই এলাকায় দর্শনার্থীর সংখ্যা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের আন্তরিকতায় পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা শান্তিতে ব্যবসা করতে পারছেন। এর ফলে যেমন দর্শনার্থী বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি রাজস্ব পাচ্ছে সরকার। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যহত থাকবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //