কালকিনিতে সেতুর ওপর বাঁশের সাঁকো

ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে দুই গ্রামবাসী

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিকামঙ্গল ও চরফতেবাহাদুরপুর চোকিদার বাড়ীর পাশের খালের উপর প্রায় ১শ’ ফুট লম্বা ভাঙা সেতুর ওপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রায় ১৫ বছর যাবত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ২টি গ্রামের হাজারও মানুষ চলাচল করছেন।

শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের চরফতেবাহাদুরপুর ১ নম্বর ওয়ার্ডের শিকারমঙ্গল ও চরফতেবাহাদুরপুর খালের ওপর দিয়ে যাওয়া এই সেতুটির পাশে একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ায় প্রায় সেখানে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের। তাছাড়া দুই বার বরাদ্দ হলেও, সেতুটির কোনো কাজ না করে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এ অঞ্চলের মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। তাই উৎপাদিত ফসল, শাকসবজি, ধান, গম কালকিনি উপজেলা শহর ও মাদারীপুর জেলা শহরে নিয়ে যেতে হলে এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। চৌকিদার বাড়ির পাশের খালে শিকারমঙ্গল গ্রাম ও চরফতেবাহাদুরপুর গ্রামের মানুষের যাতায়াতের জন্য এই সেতুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুই গ্রামের স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজের শিক্ষার্থী, জেলে, কৃষক, শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন পেশার প্রায় ২/৩ হাজার মানুষ বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারে আনতে ও পশু পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। দীর্ঘ ১৫ বছর অতিবাহিত হলেও, নতুন করে সেতুটি নির্মাণ করা হয়নি। সেতু নির্মাণে বহু জায়গায় আবেদন-নিবেদন করা হলেও, এলাকাবাসীর সে আবেদন কারও কর্ণকুহরে পৌঁছেনি।

শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জানান, এ অঞ্চলের মানুষ কৃষি কাজের ওপর নির্ভরশীল। প্রতি বছর এই এলাকার লোকজনের স্বেচ্ছাশ্রম ও সহযোগিতায় বছরে ২ বার সেতুর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। জনস্বার্থে অতি দ্রুত এখানে নতুন করে সেতু নির্মাণ করা হলে, লোকজনের যাতায়াতের একটি নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হবে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দ্রুত সহযোগিতা ও পদক্ষেপের আশা ব্যক্ত করেন এই ইউপি সদস্য।

শিকারমঙ্গল ইউনিয়নের ইউপি সচিব মো. জসিম জানান, যে সেতুটির কথা বলছেন, সেটি পুনর্নির্মাণ করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। এটা আমাদের ইউনিয়নের বরাদ্দ দিয়ে করা সম্ভব না। তাছাড়া এই সেতুর জন্য কখনো কোনো বরাদ্দ আসেনি আমার জানা মতে। তবে এই সেতুটি দুই গ্রামের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমি বিষয়টি জানতাম না, আপনাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। তাছাড়া যে বরাদ্দের কথা আপনারা বলছেন, তাতে ওই সেতুর কিছুই হওয়ার কথা না। হয়তো তাই তেমন কাজ হয়নি। আমি এলাকায় খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //