ঋতুচক্র কী পাল্টে যাচ্ছে? গ্রীষ্মকালে দেখা যাচ্ছে শিশির বিন্দু আর কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর। শীতের সকালের দৃশ্য গরমকালে দেখে অবাক ও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। গতকাল শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে আজ রবিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত এই দৃশ্য দেখা যায় দিনাজপুরে জেলাজুড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত দুইদিনে এই এলাকায় হালকা বৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু দিনে রয়েছে কড়া রোদ। ভোরে কুয়াশা। এটা কী তবে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞের মতে, এটা প্রকৃতির স্বাভাবিকতা।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র সহকারি তোফাজ্জুর রহমান বলেন, গরমকালে শিশির কিংবা কুয়াশার সন্ধ্যা ও ভোর দেখে ভয়ের কিছু নেই। এটা প্রকৃতির স্বাভাবিকতা। মাঝে-মধ্যেই বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির পরে অনেক সময় কুয়াশা পড়ে। এতে ক্ষতির কোনো আশংকা নেই,বরং এতে আম, লিচুসহ অন্যান্য ফলন ভালো হবে। অপরদিকে রোদে প্রখরতা আছে।
সদর উপজেলার ঝেল্লাপাড়া গ্রামের ইয়াছিন আলী বলেন, এবারই প্রথম দেখলাম গরমকালে শীতের মতো শিশির আর কুয়াশা। ভোর রাতে তো রীতিমতো কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমোতে হচ্ছে। অন্যান্য বছর এই গরমকালে পাখার বাতাসের জন্য অস্তির হয়ে যেতে হতো। সেখানে এবার এ কি হচ্ছে। এই আবহাওয়ায় তো মানুষের এমনিতেই সর্দি-কাশি হবে।
শিক্ষক রমজান আলী বলেন, ‘সকালে হাঁটতে বেরিয়ে দেখি শীতের সকালের মতো পরিবেশ। শিক্ষার্থীদের সারাজীবন পড়িয়ে এসেছি বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ দুই মাস গ্রীষ্মকাল। কিন্তু এই সময় দেখছি কুয়াশা। ষড়ঋতুর বাংলা পরিবর্তন হচ্ছে কি-না কে জানে।’
গরমে এমন আবহাওয়া নিয়ে ডা. ডিসি রায় বলেন, অসময়ে কুয়াশা, তাই সবাইকে আরো বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ঠান্ডা-গরমে সর্দি, কাশি, গলাব্যাথা যাতে না হয় সেই ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এলাচ-লবঙ্গ মিশিয়ে গরম পানি খাওয়া বা গড়গড়া করা যেতে পারে। যাতে করে এই আবহাওয়া করোনাভাইরাস ছড়াতে না পারে।
© 2022 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh