শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ি ও মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি

আর মাত্র দুই দিন পর দেশে পালিত হবে ঈদুল ফিতর। পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে নিজ নিজ গন্তব্য রওনা হচ্ছেন হাজারো ঘরমুখো মানুষ। রেলপথ, সড়কপথ থেকে শুরু করে নৌপথেও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে সেহেরির পর থেকেই যাত্রীরা আসতে শুরু করেন। একই সাথে শিমুলিয়া ঘাটে পারাপারের জন্য পাঁচ শতাধিক ছোট গাড়ি ও কয়েক হাজার মোটরসাইকেল অপেক্ষা করছে। 

সকাল ১০টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে একের পর এক ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে। তারপরও এক নম্বর ঘাটের কাছে মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি অপেক্ষমাণ রয়েছে।

ঘাট ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সেহেরির পর থেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে আসতে শুরু করেন। এছাড়া লঞ্চ ও স্পিডবোট ঘাটে মানুষ গাদাগাদি করে লঞ্চ ও স্পিডবোটে উঠছেন। তারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে লঞ্চ স্পিডবোটে পদ্মা পার হচ্ছেন।

যশোরগামী যাত্রী মো. মামুন জানান, দুই ঘণ্টা হয় মোটরসাইকেল নিয়ে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে আছি। আমি ঢাকায় একটা ব্যবসা করি। প্রিয়জনদের সাথে ঈদ করতে গ্রামে যাচ্ছি।

লঞ্চঘাটে অপেক্ষমান সুফিয়া নামে এক যাত্রী জানান, ঘাটে এসেছি আধঘণ্টা হয়েছে। গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে লঞ্চের দিকে এগোচ্ছি। বাড়িতে কখন পৌঁছাতে পারব বুঝে উঠতে পারছি না।

তবে শিমুলিয়া দুই ও তিন নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে ছোট গাড়ি পারাপার হচ্ছে। ওই সব ঘাটে মানুষের তেমন কোনো ভিড় নেই বললেই চলে। তবে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় এখনো পাঁচ শতাধিক গাড়ি রয়েছে।

বিআইডব্লিটিএ কর্মকর্তা মো. সোলাইমান বলেন, সকাল থেকেই এ ঘাট থেকে ৮৫টি লঞ্চ এবং ১৫৫টি স্পিডবোট চলছে। ঘাটে প্রচণ্ড যাত্রী চাপ রয়েছে।

মাওয়া ঘাটের ট্রাফিক পুলিশ আমিনুর রহমান বলেন, সকালে ঘাটে প্রচণ্ড যাত্রীর চাপ ছিল। এখন কিছুটা কমেছে। সকাল থেকে কয়েক হাজার মোটরসাইকেল পার হয়েছে।

শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, সকালে লঞ্চ চালু হওয়ার আগে কিছুটা মানুষের চাপ ছিল। পরে সেটা এখন আর তেমন নেই। তবে ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় পাঁচ শতাধিক ছোট যানবাহন রয়েছে। শিমুলিয়া ঘাট হতে ১০টি ফেরি চলাচল করছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //