খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার বালিয়াডাঙ্গি ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামে দুই বোনকে হাত-পা বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মূল হোতা মুজাহিদ, আজিজুল ও নাঈম। রবিবার (১৫ মে) রাতে খুলনার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
শনিবার মধ্যরাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও রবিবার রাতে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার দুইজনের মধ্যে একজন ১৩ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী। অন্যজন ২৪ বছর বয়সী নারী। সম্পর্কে তারা দুইজন খালাতো বোন।
ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা জানান, শনিবার বিকালে তিনি বোনের বাড়ি ডুমুরিয়া যান। তার স্বামী চিকিৎসার জন্য বাগেরহাটে গিয়েছিলেন। এসময় দুই বোন বাড়িতে একা ছিল। মধ্যরাতে সাত যুবক তাদের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে কয়েকজন ঘরে গিয়ে দুই বোনের হাত ও মুখ বেধে ধর্ষণ করে। এ সময় আরো কয়েকজন ঘরের বাইরে পাহারায় ছিল। পরে ভোর রাতে তার মেয়ে ফোন করে ঘটনাটি জানায়।
তিনি আরো জানান, শনিবার বাড়িতে ফিরে তার মেয়েকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। ঘটনার সময় বড় বোনের সন্তানের গলায় ছুরি ধরা হয়েছিল। পরবর্তীতে তাকে পানিতে চুবিয়ে রাখে। শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ১৩ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এছাড়া অন্যজনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মূলহোতা মুজাহিদ, আজিজুল ও নাঈমকে র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
© 2022 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh