মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার অন্যতম এলাকা মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড। এই বাসস্ট্যান্ডে বর্তমানে তেমন জলাবদ্ধতা চোখে পড়ে না। তবে বাসস্ট্যান্ড থেকে নিজামউদ্দিন রাস্তায় অল্প বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। এ রাস্তার এক থেকে আধা কিলো রাস্তায় সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে যায়। ফলে এলাকাবাসীকে প্রতিয়িত চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে বীর মুক্তিযোদ্বা নিজাম উদ্দিন রাস্তায় ঢুকতেই শুরু হয়েছে জলাবদ্ধতা। বাসস্ট্যান্ড থেকে জয়রা, বাইচাইল, উকিয়ারা গড়পাড়ার দিকে প্রায় আধা কিলো রাস্তা পর্যন্ত হাঁটু পানি জমে রয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল না করলেও রিকশা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার সিএনজিসহ অন্যান্য যানবাহনে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। হাঁটু পরিমাণ ময়লা পানিতে কাপড় নষ্ট করে তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়েই এ রাস্তায় নিত্য যাতায়াত পাঁচ গ্রামবাসীর।
ওই রাস্তার পাশের চা দোকানি জাহাঙ্গীর বলেন, বছরে বর্ষা হয় একবার। আর এ রাস্তায় বর্ষা থাকে বারো মাস। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় হাঁটু পানি। সপ্তাহ পর্যন্ত এই জলাবদ্ধতা থাকে ।
বাইচাইল এলাকার রিকশাচালক মোসলেম উদ্দিন বলেন, এই রাস্তায় প্রায় সারা বছরই পানি জমে থাকে। কোনো সময়ই আর শুকনো পেলাম না। এ রাস্তা দিয়ে রিকশা চালানো বিপদ। মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
জয়রা গ্রামের বাসিন্দা এনামুল হক রুবেল বলেন, আমাদের গ্রামটা তুলনামূলক একটু নিচু। কার্পেটিং রাস্তা থাকলেও পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারণে বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যায়। এ কারণে যাতায়াতে সমস্যা হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে আশা রাখছি, বর্তমানে আমাদের পৌরসভায় যে উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে আমাদের এ রাস্তার ও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা হবে।
জলাবদ্ধতার বিষয়ে মানিকগঞ্জ পৌরসভার ১, ২ ও ৩ সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর নাজমা আক্তার বলেন, এ রাস্তা পৌরসভার অধীনে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে ডিডিএলজি স্যারকে বলেছিলাম এলজিইডি বা সড়ক ও জনপথ বিভাগকে দিয়ে রাস্তাটির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার জন্য। রাস্তাটি নিচু থাকার কারণে বৃষ্টি হলেই পানি জমে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড জলাবদ্ধতা
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh