ঝিনাইদহের তেতুলতলা-কুলফাডাঙ্গা ২৩০ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতোমধ্যে ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গত প্রায় ৯ মাস ধরে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হচ্ছে ঝিনাইদহের ওজোপাডিকোর ১৩২ কেভির সাব-স্টেশনে।
এই বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটির মাধ্যমে চাহিদা পূরণ হবে ঝিনাইদহ, যশোর, নড়াইল, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানা গেছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সূত্রে। মানসম্পন্ন ও দীর্ঘমেয়াদে যেন স্টেশনটি স্থায়ী হয় সেইভাবেই কাজ করা হয়েছে।
সিমেন্স এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আকিদুল ইসলাম জানান, কাজটি এতোদিন হয়তো শেষ হয়ে যেত। কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বেশ ব্যাঘাত ঘটেছে। এ কারণে আমাদের অনেক নির্মাণ সামগ্রী নষ্ট হয়েছে এবং শ্রমিক সংকট ছিল। না হলে আমরা আগামী জুনের শেষেই হয়তো প্রকল্প সরকারকে হস্তান্তর করতে পারতাম। আমরা অত্যন্ত মানসম্পন্ন করে কাজ করেছি। যাতে সরকার প্রকল্পে যেই ব্যয়টা করেছে যাতে জনগণ সঠিক ভাবে তার সুফল ভোগ করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ২৩০ কেভির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন থেকে এই উপকেন্দ্রের ট্রান্সফরমার থেকে প্রক্রিয়া করে ব্যবহার উপযোগী করে বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হবে।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, সরকার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু হলে আমাদের এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটবে। শিল্পকারখানা ঘড়ে উঠবে আমাদের অঞ্চলে। কৃষিতে বিদ্যুতের সঠিক ব্যবহার করে অনেকউন্নয়নকরা যাবে। সরকারকে ধন্যবাদ আমাদের এই অঞ্চলে এই উপকেন্দ্রটি নির্মাণ করার জন্য।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : ঝিনাইদহ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বিদ্যুৎ
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh