টিকিট কালোবাজারি: ৩ কর্মচারী বরখাস্ত, কর্মকর্তাকে বদলি

বরিশাল নদী বন্দরে টিকিট কালোবাজারির ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ’র তিন কর্মচারীকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বরিশাল নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মো. মুস্তাফিজুর রহমানকে বদলি করে ঢাকা নদী বন্দরে যুক্ত করা হয়েছে।

বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মচারী হলেন, শুল্ক আদায়কারী ফারুক সরদার, মাসুদ হোসেন খান ও মনির হোসেন। গত ২ জুলাই এক অফিস আদেশে তাদের বদলি করা হয় বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ সদরদপ্তরের পরিচালক ওয়াকিল নেওয়াজ।

অফিস আদেশ সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্ব পালনে অবহেলা, আসদাচরণ ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠায় তিন কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে বন্দর কর্মকর্তা ও নৌ-নিরাপত্তা এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মুস্তাফিজুর রহমানকে বদলি করা হয়েছে।

বদলির বিষয়টি স্বীকার করে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন নদী বন্দরে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তারা কাউন্টার থেকে কিছু টিকিট জব্দ করেছেন।

সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে দুদকের দেয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিন কর্মচারীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে আমার ওপরেও এই ঘটনার দায় চাপে। যে কারণে একই কারণে আমাকেও ঢাকায় বদলি করা হয়েছে।

এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কিকিট কালোবাজারির যে ঘটনা ঘটেছে তাতে শুধুমাত্র আমি একাই নই, এই ঘটনায় বরিশাল নদী বন্দরে যারা কর্মরত আছেন তারাও বদলি হতে পারেন।

এর আগে গত ২৮ জুন রাত ৯টার দিকে বরিশাল নদী বন্দরে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত বরিশাল জেলা কার্যালয়ের একটি টিম। এসময় বন্দরের দুই নম্বর টিকিট কাউন্টার থেকে পূর্বে বিক্রি করা ৮৬৩টি টিকিট উদ্ধার করেন। এসব টিকিটে পুনরায় যাত্রীদের কাছে বিক্রির প্রস্তুতি চলছিল।

এছাড়া বন্দরের এক নম্বর কাউন্টারে বিক্রি হওয়া টিকিটের দামের চেয়ে দুই সহস্রাধিক বেশি টাকা পাওয়া যায়। একই টিকিট একাধিকবার বিক্রি করায় বাড়তি টাকা আদায় করা হয়েছে বলে ধারণা দুদকের।

বিআইডব্লিউটিএ’র বরিশাল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক দেবব্রত মন্ডল জানিয়েছেন, ‘পূর্বে থেকেই আমাদের কাছে তথ্য ছিল বরিশাল নদী বন্দরে টিকিট কালোবাজারি হয়। এর প্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযানের বিষয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি প্রতিবেদন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দিয়েছি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিআইডব্লিউটিএ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //