স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে বাদ পড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ে ক-তালিকায় স্থান পেয়েও গেজেটে নাম আসছে না কুড়িগ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়ার। অদৃশ্য কারণে গেজেটে নাম না আসায় হতাশ তার পরিবার। দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে অসহায় দিন যাপন করছেন তার স্ত্রী বৃদ্ধ রাবেয়া বেগম। মৃত্যুর আগে তিনি স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেখে যেতে চান।
১৯৭১ সালে ২৪ বছর বয়সে ভারতের কোচবিহারের কন্ট্রোলের হাটে প্রশিক্ষণ নেন লাল মিয়া। পরে ইপিআর সুবেদার আরব আলীর কোম্পানির অধীনে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামীর বিভিন্ন এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের খাবার রান্নার পাশাপাশি সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ২০১১ সালে ৬৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
লাল মিয়ার মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আবেদন থেকে জানা যায়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল থেকে পাঠানো তালিকা অনুযায়ী ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। কমিটি মুক্তিযোদ্ধা লাল মিয়াকে ক-তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে পুনরায় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে প্রেরণ করে।
পরে ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল শুনানির জন্য রংপুর বিভাগ মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে প্রেরণ করে। পত্রের আলোকে রংপুর বিভাগ মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক সংসদ সদস্য মো. মোতাহার হোসেন ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে লাল মিয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রমাণ হওয়ার সুপারিশ করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে প্রেরণ করে।
লাল মিয়ার স্ত্রী রাবেয়া বেগম জানান, আমার স্বামী একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পরও জীবিত থাকা অবস্থায় স্বীকৃতি পাননি। জীবদ্দশায় আমি আমার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেখে যেতে চাই।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : কুড়িগ্রাম যুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা গেজেট
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh