হত্যার ৫ দির পর মিললো খণ্ডিত মাথা, ঘাতক গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরায় চা দোকানি ইয়াসীন আলীকে হত্যার পাঁচদিন পর তার খণ্ডিত মাথার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। আজ রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) শহরের বাইপাস সড়কের একটি কালভার্টের নিচ থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় এটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে, গতকাল শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ঘাতক জাকির হোসেনকে (৫০) আটক করে র‌্যাব। সে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পারকুখরালী গড়েরকান্দা এলাকার বাচ্চু শেখের ছেলে। 

এদিকে হত্যাকাণ্ডের সময় ব্যবহৃত রিকশাভ্যান ও রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করেছে র‌্যাব। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধারের চেষ্টা করছে র‌্যাব।

অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া খুলনা র‌্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মোসতাক আহমেদ জানান, ইয়াছিন আলীর কাছে ব্যবসায়িক লেনদেনের ২০ হাজার টাকা পেতেন ঘাতক জাকির। কয়েকবার তাগাদা দিয়েও টাকা না পাওয়ায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

পরে গত ৩০ আগস্ট নতুন ব্যবসার কথা বলে ইয়াছিন আলীকে একটি রিকশাভ্যানে করে শহরের বাইপাস সড়কে নিয়ে যায়। সেখানে দুজনে দীর্ঘসময় গল্পগুজব করেন। রাত গভীর হলে সুযোগ বুঝে ইয়াছিনের গলায় দা দিয়ে আঘাত করেন জাকির।

সে পড়ে গেলে তাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে জাকির। একপর্যায়ে ভিকটিমের মাথা শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়। তখন মাথাবিহীন মরদেহ টেনে রাস্তার পাশে পানিতে ফেলে দেয়। আর খণ্ডিত মাথাটি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে বাইপাস সড়কের একটি কালভাটের নিচে একটি বস্তাবন্দি করে ফেলে রাখে।

পরদিন ৩১ আগস্ট এলাকার লোকজন রাস্তায় পাশে পানিতে মাথা বিহীন মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ইয়াছিনের স্ত্রী বাদী  হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এর পাঁচদিন পর র‌্যাব ইয়াাছন হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য উদঘাটন করতে সমর্থ হয়।