ব‌রিশাল-ঢাকা নৌরুটে চলবে মাত্র তিন‌টি করে লঞ্চ

পদ্মা সেতু চালুর পর থেকেই যাত্রী সংকটে পড়েছে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটের বিলাসবহুল লঞ্চগুলো। তার ওপর বেড়ে গেছে জ্বালানি তেলের মূল্য। এর লোকসানের অজুহাতে এরই মধ্যে বরিশাল-ঢাকা রুটে বন্ধ হয়ে গেছে দিবাসার্ভিসের এমভি গ্রীন লাইন।

এবার লোকসানের অজুহাতে রোটেশনে ফিরেছে বরিশাল-ঢাকা নৌ-রুটে চলাচলকারী রাত্রিকালীন সার্ভিসের লঞ্চগুলো। এখন প্রতিদিন মাত্র তিনটি করে লঞ্চ চলাচল করবে এই রুটে। রোটেশন অনুযায়ী প্রতিদিন বরিশাল থেকে তিনটি এবং ঢাকা সদরঘাট থেকে তিনটি লঞ্চ যাত্রী পরিবহন করবে। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে।

যাত্রী সংকট ও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকসান এড়াতে মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এমভি মানামী লঞ্চের পরিচালক আহম্মেদ জাকি অনুপম।

যাপের সভাপতি মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ- বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাদল, সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু ও ঢাকা নদী বন্দর নৌযান চলাচল ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক মামুন অর রশিদসহ লঞ্চ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকায় যাপ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকা-বরিশাল রুটে ১৮টি লঞ্চকে ৬টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। এর মধ্যে ‘ক’ গ্রুপে পারাবত ১১, সুন্দরবন ১১ ও কীর্তনখোলা ২, ‘খ’ গ্রুপে সুরভী ৮, মানামী ও অ্যাডভেঞ্চার ৯, ‘গ’ গ্রুপে সুন্দরবন ১০, পারাবত ১২ ও অ্যাডভেঞ্চার ১, ‘ঘ’ গ্রুপে পারাবত ৯, সুরভী ৭ ও প্রিন্স আওলাদ ১০, ‘ঙ’ গ্রুপে পারাবত ১০, সুন্দরবন ১৬ ও কুয়াকাটা ২ এবং ‘চ’ গ্রুপে সুরভী ৯, পারাবত ১৮ এবং কীর্তনখোলা ১০ রাখা হয়েছে।

সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিদিন ঢাকা সদর ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া তিনটি লঞ্চ ভোর ৫টার মধ্যে বরিশাল নদী বন্দরে পৌঁছাবে এবং বরিশাল নদী বন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়া তিনটি লঞ্চ সকাল ৬টার মধ্যে ঢাকা সদর ঘাটে পৌঁছাবে। নিরাপদ নৌ-রুট বাস্তবায়নে নদীপথে প্রতিযোগিতা করা যাবে না। প্রতিযোগিতা করে একটি লঞ্চ আরেকটি লঞ্চকে ওভারটেক করতে পারবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।

বরিশাল নদী বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ‘বর্তমানে বরিশাল ঢাকা নৌরুটে প্রতিদিন ছয়টি করে লঞ্চ চলাচল করছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ছয়টি এবং বরিশাল থেকে ছয়টি লঞ্চ প্রতি রাতে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।

পদ্মা সেতু চালুর পরে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটের বিলাসবহুল লঞ্চগুলোকে পড়তে হয় চরম যাত্রী সংকটে। চলাচলকারী লঞ্চগুলোর ডেকে কিছুটা যাত্রী থাকলে অধিকাংশ কেবিন থেকে যাচ্ছে ফাঁকা। বিশেষ করে ছোট লঞ্চগুলোর পরিস্থিতি অনেকটা ভয়াবহ। তার মধ্যেই বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। দুইয়ে মিলে লঞ্চ চলাচলে প্রতিদিন বড় ধরনের লোকসান গুণতে হয় বলে দাবি লঞ্চ মালিকদের।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //