করতোয়ায় নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬

পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আরো ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। 

এদিকে জেলা প্রশাসনের জরুরি তথ্য কেন্দ্রের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৫০ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের রংপুর, রাজশাহী ও কুড়িগ্রামের তিনটি ডুবুরি দল উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে। তবে বেশিরভাগ মরদেহ স্থানীয় ব্যক্তিরা উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে। নিহতদের বেশির ভাগের বাড়ি বোদা উপজেলায়।

এদিকে নিখোঁজদের মরদেহের অপেক্ষায় করতোয়ার পাড়ে অবস্থান নিয়েছেন স্বজনরা। অনেকে নৌকা নিয়ে নদীতে প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়াতেও দেখা গেছে। কারও হাতে ছিল নিখোঁজ স্বজনের ছবি। কোনো মরদেহ উদ্ধারের খবর জানতে পারলেই নিখোঁজ স্বজনকে শনাক্ত করতে স্থানীয় মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদে ছুঁটে যাচ্ছেন তারা। 

জানা যায়, শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া উপলক্ষে গত রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে শতাধিক মানুষ শ্যালো ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকায় করে বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন। ঘাট থেকে নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পর দুলতে শুরু করে। এ সময় মাঝি নৌকাটি ঘাটে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন।

একপর্যায়ে নৌকা ডুবে যায়। নৌকার যাত্রীদের অনেকেই সাঁতরে তীরে ওঠেন। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজে যোগ দেন এবং পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় লোকজনের সাথে উদ্ধারকাজ শুরু করেন।

নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও নারী এবং অধিকাংশ সনাতন ধর্মাবলম্বী। ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল দুপুরে পঞ্চগড়-২ আসনের সংসদ সদস্য ও রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।