বিষখালী নদীতে হঠাৎ ভাঙন

ঝালকাঠির রাজাপুরের বিষখালী নদীতে হঠাৎ দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। এতে ছয়টি দোকান নদীতে বিলীন হয়েছে। এদের মধ্যে একটি মুদি-মনোহারি, একটি ঋষি ও বাকিগুলো চায়ের দোকান ছিল। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বিশখালী নদী সংলগ্ন বাদুরতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই এলাকায় ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলো নাসির হাওলাদার, জুয়েল শরীফ, শাহজাহান শরীফ, জামাল হাওলাদার, আবু খলিফা ও বাবুল ঋষি। 

প্রত্যক্ষদর্শী মো. রুহুল আমিন, তরিকুল ইসলাম সুমন ও আব্দুল গফুর জানান, দুপুরে হঠাৎ বিশখালী নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। এতে কয়েকটি দোকান নিয়ে মাটি দেবে পানিতে ভেসে যায় মালপত্রসহ। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় নদী থেকে মালিকরা দোকানসহ মালামাল উদ্ধার করে। ততক্ষণে অনেক মালপত্র ভেসে যায়।

মঠবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জালাল হাওলাদার জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বাদুরতলা বাজারের দোকানগুলো ভেঙে বিলীন হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হঠাৎ দুপুরে ৬টি দোকান বিলীন হয়ে গেছে। এখনো ওই বাজারের অনেক দোকান ঝুঁকিতে রয়েছে। কয়েক দফা জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙনরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা প্রয়োজন। 

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের জন্য পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এদিকে বিষখালী ও হলতা নদীর জোয়ারের পানি ৩-৪ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার অর্ধশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২৭টি গ্রাম ও শতাধিক আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর প্লাবিত হয়েছে। ভেঙে গেছে কাঠালিয়া গ্রামের বিষখালী নদীর তীরবর্তী রাস্তা ও চিংড়াখালী খালের বাঁধ। গ্রামীণ কাঁচা-পাকা ১০টি রাস্তা দেবে গর্ত হয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। জোয়ারের পানিতে উপজেলার আউড়া, শৌলজালিয়া ও আওরাবুনিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের শতাধিক ঘর পানিতে ভাসছে। ২-৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে এ সব ঘর।

উপজেলা পরিষদের সবগুলো অফিস ভবন, নির্বাহী অফিসারের বাসভবন, কাঠালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ, কাঠালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্যাণ কেন্দ্র, ছৈলার চর পর্যটন কেন্দ্র, কাঠালিয়া লঞ্চ ঘাট, সিকদার পাড়া, পশ্চিম আউরা জেলে পাড়া, আমুয়া হাসপাতাল ও আমুয়া বন্দরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান ৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

কাঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান জানান, কাঠালিয়া উপজেলাকে সরকারের পক্ষ থেকে কোস্টাল এরিয়া ঘোষণা করা এবং বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগের সমাধান সম্ভব নয়।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //