স্বাধীনতা-উত্তর পঞ্চগড়ে বড় বিপর্যয়

দাবি, প্রাপ্তি, প্রাণহানির মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা-উত্তর পঞ্চগড়ের ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে পঞ্চগড়ের নৌ ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে। নারী, শিশু ও পুরুষসহ ৭২ জনের প্রাণহানির মধ্য দিয়ে উত্তরের এই জেলা স্মরণকালের ভয়াবহ নৌ ট্র্যাজেডির সাক্ষী হয়ে থাকবে। 

সম্প্রতি জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নে করতোয়া নদীর আউলিয়া ঘাট এলাকায় নৌকাডুবির ঘটনা পঞ্চগড়সহ সারা দেশকে নাড়া দেয়। পার্শ্ববর্তী বড়শশী ইউনিয়নে বদেশ্বরী মন্দিরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহালয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় পুণ্যার্থীদের লাশে পরিণত হওয়া নিমিষেই বিষাদে রূপ নেয়। মরা করতোয়া সেদিন এতটাই ক্ষিপ্র ছিল যে ঘটনাস্থল থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরেও মিলেছিল অনেকের লাশ।

নৌকাডুবির ঘটনায় মাঝির অদক্ষতা ও ইজারাদারের গাফিলতিসহ আটটি কারণ উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি। তবে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি প্রশাসন। ফাইলবন্দি তদন্ত প্রতিবেদনের কিয়দংশ প্রকাশ্যে আসার পর সাধারণ মানুষের মনে ঘটনার দিন প্রশাসনের ভূমিকা কী ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যদিও নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্তব্য কী ছিল কিংবা জেলা পরিষদের ভূমিকাই বা কী হওয়া উচিত ছিল তা তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কিনা এমন অনেক প্রশ্ন এখন সাধারণ মানুষসহ গণমাধ্যমকর্মীদের মাঝেও।

এদিকে চার বছর আগে আউলিয়া ঘাট এলাকায় সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু অজানা কারণে তা এত দিন ফাইলবন্দি হয়ে ছিল। নৌকাডুবিতে প্রাণহানির পর টনক নড়ে এলজিইডির। ৭২ জনের প্রাণহানির পর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আউলিয়া ঘাটে ৮০০ মিটারের পরিবর্তে ১ হাজার ১১০ মিটারের ওয়াই মডেলে সেতু নির্মাণ হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //