লালমনিরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০৪:৪৪ পিএম
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২২, ০৪:৪৫ পিএম
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এক রাতের ঝড়ো বাতাসে জেলায় তামাকের বীজতলা, শীতকালীন শাক ও সবজিসহ বিশেষ করে আমন ধানের ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে সাধারণ কৃষক।
আবহাওয়া ভালো হলে দ্রুত এসব ক্ষতি কাটিয়ে উঠবে বলছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
জেলার পাটগ্রাম, হাতিবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ফলে সৃষ্ট বাতাসে আগাম ধান ও আমন ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে। লালমনিরহাটে আগাম ধান কাটাই মাড়াই চলছে।
আর এক মাসেই পেরুলেই আমন ধান ঘড়ে তোলার কাজ শুরু হবে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বয়ে যাওয়া এক রাতের ঝড়ো বাতাসে আগাম ও আমন ধান ক্ষেত মাটির সাথে শুয়ে পড়েছে। বিশেষ করে গাছ পালা সংলগ্ন ক্ষেত বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক ক্ষেতেই পাকা ধান ভেঙে পড়েছে।
একদিকে পোকার আক্রমণ ও সার ও বীজের উচ্চমূল্যে লোকসানের মুখে ছিলো চাষিরা। এই অবস্থায় ধান ক্ষেত শুয়ে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস বলছে, জেলার সদরে ১২০ হেক্টর, আদিতমারীতে ৭০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৭২ হেক্টর, হাতিবান্ধায় ৬০ হেক্টর ও পাটগ্রামে ২৭ হেক্টর সহ মোট ৩৫৪ হেক্টর জমির ধান বাতাসে শুয়ে পড়েছে।
এছাড়াও জেলায় শীতকালীন সবজি ও আগাম সবজি চাষ ব্যাপকহারে হয়ে থাকে। ইতিমধ্যেই জেলার মোগলহাট, দুর্গাপুরে, কমলাবাড়ি, চাপারহাট এলাকায় সবজি চাষাবাদ হয়েছে। বাতাসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এসব ক্ষেত। নষ্ট হয়ে পড়েছে তামাকের বীজতলা।
আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের কৃষক হামিদুর রহমান বলেন, এমনি সারের দাম বেশি, কীটনাশকসহ চাষ করতেই এবার অনেক খরচ হয়েছে। মূলধন উঠবে কিনা তাও বলা যাচ্ছে না। তার উপর পোকার আক্রমণ শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় ঝড়ে ধান ক্ষেত শুয়ে পড়ায় এবার চরম ক্ষতি হবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থানে সিত্রাংয়ের ফলে ধান ক্ষেত মাটিতে শুয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রাস্তার পাশের ধান ক্ষেত শুয়ে পড়েছে। রোদ হলে আবারো ধান ক্ষেত উঠে যাবে। আমরা ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh