কেরু কোম্পানিতে মদের খালি বোতল সরবরাহেও লাগে ঘুষ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের স্টোরকিপার ইনচার্জ লিংকন ঢালীর বিরুদ্ধে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত মদের খালি বোতল ঘুষের বিনিময়ে ৪ দিন পর ছাড় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘুষের টাকার ভাগ না পেয়ে কয়েকজন ঘটনাটি ফাঁস করে দিয়েছে।

মদের খালি বোতলবোঝাই ট্রাকটির চালক বিষয়টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিককে জানালে আর্থিক সমঝোতার মাধ্যমে ট্রাক থেকে বোতলগুলো নামিয়ে চিনিকলের ডিস্টিলারীর স্টোরে নেওয়া হয়। বিষয়টি জানাজানি হয় আজ শনিবার (২৯ অক্টোবর) সকালের পর। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেরু এ্যান্ড কোম্পানী চিনিকল কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, ঢাকার ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারি বিভাগে নিয়মিত মদের খালি বোতল সরবরাহ করে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (২৫ অক্টোবর) রাতে খালি বোতলবোঝাই এএইচ খান ট্রান্সপোর্টের (ঢাকা মেট্রো-ট-১৩-২৯৯৪) নম্বরের ট্রাকটি কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারি বিভাগের সামনে এসে দাঁড়ায়।

মালামাল বুঝিয়ে দিতে ট্রাক চালক আক্তার হোসেন চালান নিয়ে যান স্টোর ইনচার্জ লিংকন ঢালীর কাছে। চালানে উল্লেখিত মদের খালি বোতলগুলো বুঝে না নিয়ে তিনি অজ্ঞাত কারণে ৪ দিন ট্রাকটি আটকে রাখেন।

তবে ডিস্টিলারি বিভাগের সামনে মদের খালি বোতলবোঝাই ট্রাকটি দাঁড়িয়ে থাকলেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেউ এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের গোচরে আনেনি। ফলে ৪ দিন ট্রাক আটকে রাখার কারণ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। পরে গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরের দিকে ট্রাক থেকে খালি বোতল বুঝে নেয় স্টোর ইনচার্জ লিংকন ঢালী।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শেখ মোঃ শাহাব উদ্দিন সবই জানেন। তাকে না জানিয়ে কিছু করা হয় না।

ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, আমার কাছে কোনো কাগজপত্র আসেনি। বোতলবোঝাই ট্রাকের বিষয়টি আমার জানা নেই।

এদিকে কেরু এ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) শেখ মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি জানি না। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।

কেরু এ্যান্ড কোম্পানি চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। এটা তদন্ত করে দেখা হবে।