পদ্মায় বসতি আর জমি হারিয়ে দিশাহারা মানুষ

নারায়ণপুর ও শিবগঞ্জের প্রায় প্রতিদিনই নদী গিলে খাচ্ছে শত শত বিঘা ফসলি জমি। নদী এতটাই তীব্র আকার ধারণ করে, তা দেখে স্থানীয় মানুষ হতভম্ব হয়ে পড়ছে। বিগত ৪ বছর থেকে এভাবেই চলছে চরের মানুষের জীবন সংগ্রাম। 

স্থানীয়দের মতে, আগে কখনো এ ধরনের ভাঙনের ঘটনা ঘটেনি। এ বছর ব্যাপক ভাঙনের মুখে পড়েছে। হুমকিতে পড়েছে নদীর তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে চরে বিদ্যুৎ সংযোগ। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কারিগরি কমিটি ভাঙনকবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। জানা গেছে, এখন পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত ও নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার প্রত্যন্ত চরনারায়ণপুর ইউনিয়নের ডাকাত পাড়া, খলিফাচর, বান্নাপাড়া, নারায়ণপুর ঘোন এবং পাকা ইউনিয়নের নিশিপায়া ও দক্ষিণ পাকা এলাকায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। নদীর পানিতে চারদিকে টুইটম্বুর থাকার পর ভাঙন শুরুহয়। 

তেমনি বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নদীর পাড় ভাঙতে দেখা যায়। এভাবেই চলে চরের পাড়ের মানুষের জীবন সংগ্রাম। পাকার দক্ষিণ পাকা থেকে নারায়ণপুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পানি পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতে ইতোমধ্যে বিলীন হয়েছে কয়েক হাজার বিঘা ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। এছাড়াা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদ্রাসাও যাচ্ছে নদীর পেটে। এখন হুমকিতে রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরো ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। 

এক সময় এ অঞ্চলের মানুষ ছিল সাবলম্বী এখন ভাঙন বাড়তে থাকায় তাদের ভিটেমাটি হারিয়ে তারা সর্বস্বান্ত হতে চলেছে। চোখের সামনে বিলীন হয়ে যাওয়া স্থাপনা নির্বাক হয়ে তাকিয়ে দেখছে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো। ভাঙনকবলিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক পরিবার জানান, গত কয়েক বছর ভাঙনের পরিমাণ কম ছিল; কিন্তু এবার ব্যাপক হারে বেড়েছে। পদ্মার ভয়াল স্রোতে নদীর পাড় যেমন ভাঙছে তেমনি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। 

নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন জানান, দক্ষিণ পাকা থেকে নারায়ণপুরের বত্রিশ রাশিয়া পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এবার ভাঙনের পরিমাণ বেশি।

এ প্রসঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে কারিগরি কমিটি ভাঙনকবলিত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। তারা প্রতিবেদন দাখিল করার পর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //