সাংবাদিক মশি শ্রাবণকে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় দৈনিক মাতৃভূমির সম্পাদক সাংবাদিক মশি শ্রাবণকে সন্দেহ করে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। গত ১৩ ডিসেম্বর রমনা থানায় ও ১৫ গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক মশি। 

অভিযুক্তরা হলেন- সাজ্জাদ খান, জাফর মীর, সৈয়দ হারুন। এদের আশ্রয়দাতা মিন্টু মৃধা ও আমিরুল ইসলাম পিকু।

লিখিত অভিযোগে সাংবাদিক মশি শ্রাবণ উল্লেখ করেন, বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে ও বিভিন্ন মিডিয়াতে এই মর্মে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে যে; একটি দুর্নীতিবাজ ও অসৎ, জালিয়াতি চক্রেরা কিছু ভুঁইফোড় মাল্টি পারপাস কোম্পানি ও সঞ্চয় সমিতির নামে বিভিন্ন মাধ্যমে একাধিক কোম্পানি করে একেক সময়, একেক জায়গায় সঞ্চয়/সমিতির অফিস খুলে সাধারণ মানুষ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই চক্রটির সর্বশেষ অফিস এখন ঢাকার মিডর্ফোট হাসপাতাল বাবু বাজার ও সদরঘাট-কেরানীগঞ্জ এলাকায় অবস্থান নিয়ে এদের অপকর্মগুলো চালিয়ে যাচ্ছে।

বর্ণিত চক্রটির অফিসের নাম ‘রুপালী সঞ্চয় ও ঋণদান সমিতি’, যার কর্ণধার সাজ্জাদ খান ও মীর জাফর। এ ছাড়া ‘মধুমতি কো-অপারেটিভ লিমিটেড’, যার এমডি সৈয়দ হারুন অর রশীদ। এরা দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে কিছু দিনের জন্য অফিস নিয়ে সেখান থেকে লাখো টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। কিছু দালাল-মোড়লদের ম্যানেজ করে কতিপয় প্রশাসন মাসোয়ারা দিয়ে তারা সুদের ওপর টাকা লাগিয়ে গ্রামের হতদরিদ্র ও নিরীহ মানুষদের জায়গা-জমি, ভিটে-মাটি দখল করে নিয়ে অসংখ্য পরিবারকে সর্বস্বান্ত করে দিয়ে পথে বসিয়েছে। 

তাদের হঠাৎ করে সম্পদশালী হওয়ার রহস্য নিয়ে এলাকায় এখন চাঞ্চল্যকর অবস্থা তৈরি হয়েছে। এদের সকলের স্থায়ী ঠিকানা সাং-দস্তন, থানা-কাশিয়ানী, জেলা-গোপালগঞ্জ। এদের কারণে এখন ঘরে ঘরে সঞ্চয় সমিতি ও চড়া সুদে লেনদেনের প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। স্থানীয়ভাবে এদের সেল্টারদাতা মিন্টু মৃধা ও প্রভাবশালী আমিরুল ইসলাম পিকু মৃধা। এমনি ঘটনার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি এই সাজ্জাদ-হারুণ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হওয়ায় এরা  মশি শ্রাবণকে সন্দেহ করে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদান করছে।

সাজ্জাদ খান ও তার একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী মারুফ বাহিনী মিলে ৮ ডিসেম্বর আনুমানিক বেলা ১১টা দিকে তার ঢাকার ৮০, কাকরাইলস্থ অফিসে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করলে অফিস সিকিউরিটি জিল্লুসহ একাধিক নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার মুখে পড়লে তারা দ্রুত কেটে পড়ে। এরপর তারা তার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ওইদিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাকে খুঁজতে থাকে। না পেয়ে সাজ্জাদ-হারুন ও মারুফ ক্ষুব্ধ হয়ে তার বাড়ি ও বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করে। অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ হুমকি প্রদান করে। মশি শ্রাবণ দেশের বাইরে থাকায়, সাজ্জাদ বাহিনীর হাতে হামলার শিকার বা আক্রান্ত হননি।

এ বিষয়ে সাংবাদিক মশি শ্রাবণ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং রাষ্ট্রের কাছে নিরাপত্তা দাবি করেন।