পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ১১:২৪ এএম
আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:০৩ পিএম
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। হিমেলে বাতাস আর ঘন কুয়াশায় জবুথবু প্রকৃতি। বিরাজ করছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। কনকনে শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
আজ মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা সকাল ৬টার দিকে রেকর্ড হয়েছিল ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত এক সপ্তাহ ধরে জেলা জুড়েই সূর্যের দেখা মিলছে দেরিতে। তবে দিনভর রোদ থাকায় উষ্ণতার কারণে স্বস্তি মিলছে।
সকালে হিমেল বাতাসের মধ্যেই মাঠে-ঘাটে কাজ করছেন কর্মজীবীরা। তবে সন্ধ্যার পরপরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যস্ততম এলাকাগুলো।
এদিকে, তাপমাত্রার অবনতি আর হাড়কাঁপানো শীতে জবুথবু অবস্থা জনজীবনেও। কনকনে শীত আর হিমেল বাতাস সহজেই কাবু করছে এখানকার জনজীবন। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। ফলে শ্রমজীবীরা সময়মত কাজে যেতে পারছেন না। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারো বাড়ছে শীতের দাপট। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে, শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এ অবস্থায় শিশুদের বাঁশি খাবার পরিহার করা, খাবার ঢেকে রাখা এবং রাতে শিশুকে নিয়ে বাহিরে বের না হবার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, এ জেলার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার ৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরদিক থেকে হিমালয়ের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্র ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। সামনে আরো কয়েক দিন শৈত্যপ্রবাহ থাকবে বলে জানান তিনি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : পঞ্চগড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শীত শৈত্যপ্রবাহ
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh