লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে স্ত্রী ও দুই সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী রাশেদুজ্জামানকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নিহত সুমি আক্তারের (৩২) বাবা আজিজুল ইসলাম আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করলে, রাতেই অভিযুক্ত রাশেদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলার আরেক আসামি শাশুড়ি রাশেদা বেগম এখনও পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে শুক্রবার সকালে অভিমান করে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে রেললাইন হয়ে বুড়িমারী বন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন সুমি আক্তার।
এ সময় লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারীগামী একটি লোকাল ট্রেনে কাটা পড়ে মা সুমি আক্তার ও তার মেয়ে তাজমিরা তাবাসুম তাসিন (৬) ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত ছেলে তৌহিদকে (৪) উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবণতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরে এ ঘটনায় লালমনিরহাট রেলওয়ে পুলিশের নিকট নিহত সুমি আক্তারের বাবা আজিজুল ইসলাম তার মেয়ে, নাতি ও নাতনীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে মামলা করেন। বিষয়টি আমলে নিয়ে রাতেই নিহত সুমির স্বামী রাশেদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
লালমনিরহাট রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলী জানান, স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পরে দুই শিশু সন্তানসহ ট্রেনের নিচে ঝাপ দেয় মা সুমি আক্তার।
নিহতের বাবার করা আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা আমলে নিয়ে রাতেই স্বামী রাশেদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শনিবার তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh