কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের ২১ ঘণ্টা পর ছাড়া পেয়েছেন ছয় রোহিঙ্গা। স্বজনরা দাবি, এ জন্য তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হয়েছে।
এদিকে অপহরণের সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ বেলাল টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল এলাকার জালাল আহমদের ছেলে।
রোহিঙ্গা শিবিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৬-এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকেলে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা পান। তারপর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা ৬টায় তারা টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরেন।
অপহরণের শিকার ৬ রোহিঙ্গা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-ব্লকের বাসিন্দা আমির হাকিমের ছেলে মোহাম্মদ ফরোয়াজ ও তার ভাই মোহাম্মদ জোহার, মোহাম্মদ ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ নুর, আবুল হোসেনের ছেলে নুরুল হক, ইউছুফ আলীর ছেলে জাহিদ হোসেন এবং একই ক্যাম্পের সি-ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিস।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাতে টেকনাফের চাকমারকূল ২১ নম্বর ক্যাম্প থেকে ছয় রোহিঙ্গা দিনমজুর কাজের জন্য ঘর থেকে বের হন। তারা কাঁটাতারে ঘেরা ক্যাম্পের চোরাই পথ দিয়ে বের হয় হয়ে শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কে (কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক) পৌঁছান।
এক পর্যায়ে উলুবনিয়া স্টেশনে পৌঁছার আগেই অটোরিকশা যোগে একদল দুর্বৃত্ত অস্ত্রের মুখে ছয় রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে তাদের টেকনাফের হ্নীলা এলাকার দিকে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা।
এএসপি মঞ্জুরুল বলেন, অপহৃত রোহিঙ্গারা ক্যাম্পে ফিরেছেন শুনে এপিবিএন সদস্যরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এসময় ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন তারা।
এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্য মতে, শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকূল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোহাম্মদ বেলাল নামের স্থানীয় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মামলা করা হবে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh