নাটোরে এক ছাত্রীকে অপহরণের প্রায় ১৩ বছর পর এক তরুণকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থদণ্ডের টাকা পাবেন ভুক্তভোগী সেই ছাত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই দণ্ডাদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পেশকার সাইফুল ইসলাম।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত রনি আহম্মেদ নাটোরের লালপুর উপজেলার কুজিপুকুর গ্রামের আকবর হোসেনের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টায় নাটোরের লালপুর উপজেলার কুজিপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়। ওই দিন রাতেই ওই ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে তার অপহৃত বোনের বান্ধবী ও তার ভাই রনি আহম্মেদসহ (২০) চারজনের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা করেন। দুইদিন পর পুলিশ অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে।
পরে সে আদালতে জবানবন্দি দেয় যে, তাকে সীমান্তবর্তী একটি স্থানে আটক করে রাখা হয়েছিল। ঘটনাটি তদন্ত করে লালপুর থানার এসআই জামাত আলী ২০১০ সালের ৫ এপ্রিল শুধু রনি আহম্মেদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে মামলাটি ট্রাইব্যুনালে আসে বিচারের জন্য। ছয়জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদান করেন। কিন্তু রনি আহম্মেদ জামিনে গিয়ে পলাতক হন।
সাক্ষ্য প্রমাণে অপহরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ঘটনার প্রায় ১৩ বছর পর আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত বৃহস্পতিবার দুপুরে রনি আহম্মেদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন। অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে ভুক্তভোগীকে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh