আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ফের মাছ রপ্তানি শুরু

অবশেষে ভারতের নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আবারো শুরু হয়েছে মাছ রপ্তানি। 

আজ সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১১টি ট্রাকে করে প্রায় ৫০ টন মাছ রপ্তানি হয় ভারতে। 

মূলত ভারতের ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার হস্তক্ষেপেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে নিষেধাজ্ঞার কারণে গত ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি রপ্তানি বন্ধ থাকায় অন্তত দুই কোটি টাকার লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

মাছ রপ্তানিকারক সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ টন মাছ রপ্তানি হয় উত্তর-পূর্ব ভারতে। সপ্তাহের সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার- এ চারদিন মাছ রপ্তানি হয়। 

মূলত মাছের ওপর ভর করেই টিকে আছে আখাউড়া স্থলবন্দরের রপ্তানি বাণিজ্য।

তবে মান যাচাইয়ে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও জনবল সংকটের কারণ দেখিয়ে ভারতের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে মাছ, মাংস ও পোল্ট্রিজাত খাদ্য আমদানিতে এক মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয় দেশটির নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এর ফলে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। তবে এ নিষেধাজ্ঞার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ত্রিপুরার মাছের বাজারগুলোতে।

মূলত বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত মাছের ওপর নির্ভরশীল ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলাসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলো। এর ফলে মাছের চাহিদা অনুযায়ী যোগান স্বাভাবিক রাখতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে হস্তক্ষেপ করেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। রাজ্য সরকার থেকে চিঠি দিয়ে প্রত্যাহার তুলে নেয়ার দাবি জানালে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেন।

আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ত্রিপুরায় মাছের যেন সংকট না হয়, সেজন্য নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। এর প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় ফের মাছ রপ্তানি শুরু হয়েছে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //