জনবল সংকটে নড়াইল সদর হাসপাতাল

নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে ডাক্তারের পদ আছে ৪০টি। তার মধ্যে কর্মরত মাত্র ১৪ জন। দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তারের ২৬টি পদ শূন্য থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

এ ছাড়া প্রয়োজনীয় বেড না থাকায় রোগীদের ফ্লোরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশে নতুন ভবন নির্মাণ হলেও আজও তা চালু করা সম্ভব হয়নি। ভবনটি গত বছরের জুনে হস্তান্তরের কথা থাকলেও তা এখনো হয়নি। কবে হবে তাও অনিশ্চিত।

হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানায়, নড়াইলের আধুনিক সদর হাসপাতালের প্রস্তাবিত বেড সংখ্যা ২৫০টি। বাস্তবে কার্যকর আছে ১০০টি। অথচ প্রতিদিন গড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৩৫০ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। আবার বহির্বিভাগেও রোগীর চাপ রয়েছে। প্রতিদিন অন্তত এক হাজার রোগীকে চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হয়।

হাসপাতালে বর্তমানে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, চর্ম, চক্ষু, রেডিওলজিসহ বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসক নেই। যে কারণে রোগীদের উন্নত চিকিৎসা সেবা দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে। সার্জারি ও গাইনি বিভাগে সিনিয়র কনসালট্যান্টের পদও খালি। জুনিয়র মেডিক্যাল অফিসাররা জোড়াতালি দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক, রেডিওলজি বিভাগ কার্যকর থাকলেও জনবল কম থাকায় অনেক ক্ষেত্রে যথাযথ সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।

হাসপাতালের এক্সরে বিভাগে ডিজিটাল এক্সরে মেশিন চালু থাকলেও সিআর মেশিন নষ্ট। যার কারণে বিভাগটি চলছে জোড়াতালি দিয়ে। অন্য বিভাগগুলোতেও দৈন্যদশা বিরাজ করছে।

ডাক্তারদের আবাসন সমস্যাও প্রকট। ডাক্তাররা এখানে থাকতে চান না। দূর-দূরান্ত থেকে এসে হাসপাতালে ডিউটি করেন। আবার চলে যান।

এ ব্যাপারে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের সুপার ডাক্তার আবদুল গফফার বলেন, সম্প্রতি এখানে যোগদান করেছি। জনবল সংকটের কারণে হাসপাতালটিতে আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা কষ্টকর ছিল। দায়িত্ব গ্রহণের পর হাসপাতালটির কার্যক্রম উন্নত করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। ডাক্তারসহ জনবলের শূন্যপদ পূরণ এবং নতুন ভবনটি চালু করলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্যের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সমস্যাগুলো জানানো হয়েছে। এসব সমস্যা সমাধান হলে রোগীরা উপকৃত হবেন।