আবারও বেড়িবাঁধ ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদী সংলগ্ন বলাবাড়িয়া এলাকায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড-২-এর অধীনে ৪নং পোল্ডারের অন্তর্গত বলাবাড়িয়া প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন এলাকাগুলোতে নদীরক্ষা বাঁধ অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিন একটু একটু করে ভেঙে নদীতে যাচ্ছে বাঁধ। ফলে দুই ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ রাত জেগে পাহারার পাশাপাশি মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে প্লাবন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ১৮নং দুর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে প্রায় ৩ ফুটের কাছাকাছি প্রস্থ রয়েছে বাঁধটির। ১৬ মার্চ রাত একটার দিকে দমকা হওয়া ও বৃষ্টির পাশাপাশি জোয়ারের পানি বাড়লেই আতঙ্ক বাড়ে স্থানীয়দের মধ্যে। শুধু তাই নয় আসন্ন বর্ষা মৌসুমে কী হবে তা নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই এলাকাবাসীর মাঝেও।
বলাবাড়িয়া গ্রামের সমীরণ সানা, বাবুলাল বাছাড়, হরিপদ মণ্ডল, অর্জুন সানা, সুকৃতী সানা, কুসুম রানী জানান, এ এলাকার বেড়িবাঁধগুলো অকেজো। একই স্থান থেকে বার বার ভাঙে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ৪০০ মিটার জায়গা অত্যন্ত সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যে কোনো সময় বেশি বাতাস কিংবা জোয়ারের পানিতে বাঁধটি ভেঙে যেতে পারে।
দ্রুত বাঁধটি মেরামত না করা হলে প্রায় কয়েক হাজার বিঘা ঘের আশাশুনি সদর ও শ্রীউলা ইউনিয়নের হাজার হাজার ঘরবাড়ি তলিয়ে যেতে পারে। আশ্রয়হীন হয়ে যেতে পারে লক্ষাধিক মানুষ।
আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান হসেনুজ্জামান হোসেন জানান, ভাঙনের কথা শুনে আমরা নদী ভাঙন এলাকায় গিয়েছিলাম। ইউনিয়নের মধ্যে দুটি স্থান ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। একটির সমস্যা সমাধান হয়েছে। আর অন্যটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাবুলালের খেয়াঘাট এলাকা। সেটি দ্রুত সমাধান করা হবে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সেকশন-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধটি পরিদর্শন করেছি। সেখানে গিয়ে দেখেছি সেটি আসলেই ঝুঁকিপূর্ণ। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই বাস্তবায়ন করা হবে। আশা করছি নতুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে বাঁধটি নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু হবে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : বেড়িবাঁধ বেড়িবাঁধ ভাঙন খোলপেটুয়া নদী সাতক্ষীরা
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh