ঈদে দর্জিপাড়ায় রাত-দিন এক করে চলছে ব্যস্ততা

নিজস্ব ও মনের মতো ডিজাইন মানেই দর্জিপাড়া। কে আগে নতুন কাপড় পাবে এ প্রতিযোগিতা চলছে বহুকাল আগে থেকেই। কিন্তু গ্রাহকের চাহিদামতো সঠিক বুননে-ব্যতিক্রমী ডিজাইনে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে দিতে হবে ফেরত। এ বিরাট দায়িত্ব নিয়ে রাত-দিন এক করে কাজ করছেন ঝিনাইদহের দর্জিপাড়ার কারিগররা।

বিভিন্ন দর্জিপাড়া ঘুরে দেখা যায়, গত বছরের তুলনাই কাপড়ের দাম ও কাপড় তৈরির কারিগরদের মুজরিও বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরুষের তুলনাই নারী ক্রেতার সংখ্যাই বেশি। টেইলার্স গুলোতে কাপড় বানাতে ডিজাইন অনুপাতে গত বছরের তুলনাই দাম বৃদ্ধি হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন ভোক্তারা।

পোষাক তৈরি করতে আসা লামিয়াসহ কয়েকজন নারী ভোক্তা জানান, গত বছরের তুলনাই এবছর কাপড়ের দামও বেশি আবার কাপড় তৈরির মুজরিও বেশি। এবার প্রিন্টের কাপড় ৫০০-৫৫০ টাকা, ছাপা প্রিন্ট ৭৫-১০০ টাকা গজ, প্যান্টের পিস ৫০০-২০০০ টাকা, শার্টের পিস ৫০০-১৫০০ টাকা, বারিশ থ্রি-পিচ ১৮৫০-২০০০ টাকা, ভিপুল ইন্ডিয়ান জর্জেট ৪০০০-৫০০০ টাকা, পাঞ্জাবি রকমভেদে ১৮০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা গজ কাপড় হিসেবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে।

বাদশা, রাসেলসহ কয়েকজন টেইলার্সের কাটিং মাস্টার জানান, কাপড়ের দাম ও মজুরি বেশি হলেও প্রচুর পরিমাণে কাজ করতে হচ্ছে। নারীদের লেহেঙ্গা ও লং গাউন ডিজাইনের কাপড় তৈরির অর্ডার বেশি। গত বছরের তুলনাই কাপড়ের বিভিন্ন ডিজাইনের উপর ১০০ থেকে ১৫০ টাকা করে মজুরি বৃদ্ধি পেয়েছে।

তারা বলেন, প্যান্টের মজুরি গতবছর ছিল ৩৫০-৪০০ টাকা, এবছর ৪৫০-৫০০ টাকা, শার্ট গত বছর ছিল ২৫০-৩০০ টাকা, এবছর ৩০০-৩৫০ টাকা, পাঞ্জাবি গত বছর ছিল রকমভেদে ৩৫০-৪০০ টাকা, এবছর ৪৫০-৬০০ টাকা।

তারা আরও জানান, রাত-দিন কাজ করে সময়ের মধ্যেই সেগুলোর ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করছি।

কাপড় তৈরির কারিগররা জানান, ঈদের সময় কাজের প্রচণ্ড চাপ। সকাল ৯ থেকে রাত ১টা পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। ঝিনাইদহ জেলাতে আগে ৩৫০ জন কারিগর কাজ করত, সেখানে এখন ১৫৫জন কারিগর কাজ করে। সিজনে ঈদ উপলক্ষে দিনে ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকার কাজ করতে পারেন তারা।

শহরের মুন্সী মার্কেটের হিরামনি বস্ত্রবিতানের মালিক জাফিরুল ইসলাম জানান, বর্তমানে কাপুড়ের ব্যবসা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। কাপুড়ের দাম অশ্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে আমাদের সাথে কাস্টমার দের সম্পর্ক ভালো থাকছে না।

তিনি বলেন, একটি থ্রীপিচ কাপুড়ে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। একই ভাবে গজ কাপুড়েও গজ প্রতি ১২ টাকা থেকে ৫০ টাকা করে দাম বেড়েছে। এজন্য কাস্টমাররা মনে করছেন আমরা কাপুড়ের দাম বেশি নিচ্ছি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //