ছদ্মবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকেট কাটতে গেলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। যথারীতি তাদের কাছে ট্রেনের ৬০ টাকার টিকেটের দাম টিকেট কাউন্টার সেলসম্যান চাইলেন ১০০ টাকা। খেলেন ধরা এই দুই ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে৷
একই সময় রেলওয়ে নিরাপত্তারক্ষী (আরএনবি) বিপ্লব চন্দ্র দাস নিজে বসে ট্রেনের টিকেট বিক্রয় করছিলেন। তার কাছেও তারা যান টিকেট ক্রয় করতে। দাম দর করার পর টিকেট দেওয়ার সময় আঁচ করতে পারেন ম্যাজিস্ট্রেটের হানা। দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে আরএনবি সদস্য বিপ্লব চন্দ্র দাস, কিন্তু রক্ষা হয়নি। তাকে আনসার সদস্যরা দৌড়ে আটক করেন। একইভাবে আয়েশা বেগম ও আরাফাত নামের আরো দুই টিকেট কালোবাজারিকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ শনিবার (১৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে চালানো ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ। তার সাথে ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারির বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচিত। এরই প্রেক্ষিতে আজ ইউএনও মহোদয়ের নেতৃত্বে পরিচয় গোপন রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এরমধ্যে কাউন্টারের টিকেট সেলসম্যান ও রেলওয়ের নিরাপত্তা রক্ষীকে হাতেনাতে ধরা হয়। টিকেট সেলসম্যান কাজীপাড়ার জালাল বেদার ছেলে সালাউদ্দিন। তাকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আরএনবি সদস্য বিপ্লব চন্দ্র দাস হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার হরষপুরের অয়ন চন্দ্র দাসের ছেলে। তাকে রেলওয়ে আইন ১০১ ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এছাড়াও দুই টিকেট কালোবাজারি আয়েশা ও আরাফাতকে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh