পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর-খুলনা নিষ্কাশন পুনর্বাসন প্রকল্প হরিনদী ও শ্রীনদী লেবার কন্ট্রাক সোসাইটির শ্রমিকদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় দলনেতা খলিলুর রহমানকে ২২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও আত্মসাৎকৃত ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮২৪ টাকা জরিমানার করেছে আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এক রায়ে এ আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত খলিলুর রহমান মণিরামপুরের কপালিয়া গ্রামের মৃত এরশাদ আলী শিকদারের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোডের যশোর-খুলনা নিষ্কাশন পুনর্বাসন প্রকল্প হরিনদী ও শ্রীনদী লেবার কন্ট্র্ক সোসাইটির দলনেতা হিসেবে কাজ করেন খলিলুর রহমান। কাজের চূড়ান্ত বিলের ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮২৪ টাকার চেক আঞ্চলিক হিসাব কেন্দ্র পানি উন্নয়ন বোর্ড খুলনা থেকে গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি চেকটি মণিরামপুরের রাজগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে উত্তোলন করেন। এ টাকা তিনি শ্রমিকদের পাওনা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। এ অভিযোগে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর মণিরামপুর থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মনিরুল ইসলাম। এ মামলার তদন্ত শেষে অভিযোগে সত্যতা পাওয়ায় খলিলুর রহমানকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ সহকারী পরিচালক এসএস বোরহান উদ্দীন।
দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আসামি খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক ৪০৬ ধারায় ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ড। ৪২০ ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড। ৪৬৭ ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড। ৪৬৮ ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং ৪৭১ ধারায় ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ২ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায়ে সাজা একই সাথে চলবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত খলিলুর রহমান পলাতক আছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : যশোর দুর্নীতি মামলা কারাদণ্ড পুনর্বাসন প্রকল্প
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh