রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে চীনা রাষ্ট্রদূত

কক্সবাজারের টেকনাফের কেরুণতলী প্রত্যাবাসন সেন্টার পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে সম্ভাব্য প্রত্যাবাসনকে সামনে রেখে তিনি এ সফর করলেন।

আজ শনিবার (২০ মে) দুপুরে চীনা রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল কেরুণতলী প্রত্যাবাসন ঘাটের কক্ষগুলো ঘুরে দেখেন। এসময় অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার খালিদ হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন। 

চীনা রাষ্ট্রদূতের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করলেও এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি খালিদ হোসেন।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনাফের এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে সম্ভাব্য প্রত্যাবাসনকে সামনে রেখে চীনা রাষ্ট্রদূতসহ একটি দল কেরুণতলী প্রত্যাবাসন ঘাটে আসেন। পরে তিনি ঘাটের কক্ষগুলো ঘুরে দেখেন। কিন্তু কারও সঙ্গে কথা বলেননি।

এদিকে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চলতি মাসে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। তবে সাইক্লোন ‘মোখা’র কারণে আলোচনা পিছিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার। যদিও এর আগে গত ৫ মে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি এবং রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা রাখাইন সফর করেছিলেন। নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে রোহিঙ্গাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য এ মাসেই মিয়ানমার তাদের প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা বলেছিল।

রাখাইন থেকে রোহিঙ্গা বিতরণের তিন মাসের মাথায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রত্যাবাসন বিষয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ চুক্তি সই করেছিল। এ চুক্তির নেপথ্যে ছিল চীন। কিন্তু গত প্রায় ছয় বছরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি হয়নি। ২০১৮ সালে এক দফা প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে চীনের মধ্যস্থতায় ২০১৯ সালে আবার প্রত্যাবাসন শুরুর চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এ ঘটনার পর রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত আলোচনা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়ে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //