বিটকয়েনের অবৈধ লেনদেন চক্রের ৩ সদস্য আটক

বরিশালেও বিটকয়েনের অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে চলছে অনলাইন জুয়া। মোবাইল ডিভাইসে বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে এই জুয়া পরিচালিত করছে একাধিক চক্র। যারা দেশের টাকায় বিদেশী বিটকয়েন কিনে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে যাচ্ছে।

এমনই একটি চক্রের সন্ধান পেয়েছে বরিশাল ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে বরিশালের আগৈলঝাড়া থেকে চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এই সংস্থাটি।

চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপসের মাধ্যমে জুয়া খেলা পরিচালনা করে আসছিল। এদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ৩৪৫৯.৩ অবৈধ বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি।

চক্রের আটককৃত তিন সদস্য হলো- বরিশালের উজিরপুর উপজেলার জল্লা ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. শাওন হাওলাদার সুজন (২৭), একই উপজেলার বাহেরঘাট এলাকার বাসিন্দা মো. ইমন হোসেন (২০) ও মো. ইব্রাহীম মোল্লা (২০)।

আজ সোমবার (২২ মে) সকালে বরিশাল আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ব্যাটালিয়নের পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন।

তিনি জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার সাহেবেরহাট বাজারে হাওলাদার টেলিকম নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ভেতর অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপস ব্যবহার করে জুয়া খেলা পরিচালনা করছে একটি চক্র।

এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ পরিদর্শক শাহ্ মো. ফয়সাল আহমেদের নেতৃত্বে আর্মড পুলিশের একটি টিম ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। তারা সেখান থেকে তিন জুয়াড়িকে আটক করে।

পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ বলেন, তিন জুয়াড়িকে আটকের পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি করা হয়। এসময় তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনগুলোতে একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন আইডিতে ৩৪৫৯.৩ অবৈধ বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি পাওয়া যায়।

এছাড়াও অবৈধ বিটকয়েন লেনদেনে তাদের ব্যবহৃত বিকাশ, নগদ ও রকেটে সর্বমোট ১৭ হাজার ৬৮৯ টাকা পাওয়া যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলায় ব্যবহৃত মোবাইল ডিভাইসগুলো জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোল্লা আজাদ হোসেন বলেন, আটককৃতরা বরিশালের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে অনলাইন জুয়া পরিচালনা করে আসছিল।

তারা বিভিন্নভাবে বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় করে তা অনলাইন জুয়াড়ুদের কাছে বিক্রি করতো। তাদের এ ধরনের কার্যকলাপে তরুণ এবং যুবসমাজ জুয়ার নেশায় আসক্ত হয়ে পরিবারকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছিল। আর ইলেকট্রিক মাধ্যমে বাংলাদেশী মুদ্রা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসরিন জাহান, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহমুদুল হাসান চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার উজ্জ্বল কুমার দে, পুলিশ পরিদর্শক শাহ্ মো. ফয়সাল আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

Ad

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //