চুয়াডাঙ্গায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলছে সড়ক সম্প্রসারণ ও সংস্কার কাজ

চুয়াডাঙ্গায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলায় যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সেই সঙ্গে চলছে দায়সারা গোছের সড়ক সংস্কার।

চুয়াডাঙ্গা থেকে জীবননগর সড়কের ডুগডুগি বাজার থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত ধীর গতিতে এ কাজ চলছে। নওগাঁ জেলার একজন ঠিকাদারের কাজ এ জেলার একজন অনভিজ্ঞ ঠিকাদার দায়সারাভাবে করায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে চুয়াডাঙ্গা থেকে জীবননগর সড়কের ডুগডুগি বাজার থেকে লোকনাথপুর পর্যন্ত কার্পেটিং সিলিকেট কাজ পায় নওগাঁ জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আমিনুল হক।  ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৫০ মিটার একাজ স্থানীয়ভাবে বাস্তবায়ন করছে ওই প্রতিষ্ঠানের পক্ষে একজন অনভিজ্ঞ ঠিকাদার।

সরেজমিনে দেখা যায়, কোন রকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না রেখেই সারাদিন রাত শত শত যানবাহন চলাচলকারী এ সড়কের দুই ধারে গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। প্রতিরোধক হিসেবে গর্তের ধারে চারটি করে ইট ব্যবহার করা হচ্ছে। সতর্ক করার জন্য বাঁশের লাঠির মাথায় লালটেপ জড়িয়ে কয়েক জায়গায় পুঁতে রাখা হয়েছে। তবে সড়কের কিছু অংশ ইটবালী মিশিয়ে ভরাট করলেও অন্য অংশে গর্ত রয়েই গেছে। রাতে সড়ক বাতি না থাকায় পুরো সড়ক অন্ধকারে নিমজ্জিত থাকছে। বৃষ্টি ও গর্তের কারণে এ সড়ক দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। যেকোনো মুহূর্তে দ্রুতগতির যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গর্তে পড়ে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

লোকনাথপুর বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, বড় বড় গর্ত খুঁড়ে রাখায় সড়ক পার হয়ে খদ্দের আসতে না পারায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া গর্তের কারণে আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা অন্ধকারে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে না।

এছাড়া সড়ক সংস্কারের চলছে যথেষ্ট অনিয়ম। সড়কের ওপর হালকা পিচের প্রলেপ দিয়ে কাজ শেষ করা হয়েছে। রোলার দেয়ার পরও সড়ক রয়েছে উঁচুনিচু। মনেই হচ্ছে না সড়কটি সংস্কার করা হয়েছে। দায়সারা গোছের কাজের কারণে সংস্কারের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

দর্শনা বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান, আবু সাঈদ, একরামুল ও স্থানীয় বাসিন্দা মতিয়ার অভিন্ন ভাষায় বলেন, সড়ক সংস্কারে যথেষ্ট অনিয়ম হয়েছে। সড়কে সামান্য পিচের প্রলেপ দিয়ে কাজ শেষ করা হয়েছে। এ কাজে সরকারের টাকার তছরুপ করা ঠিক হয়নি। চোখের সামনে আমাদের দুর্নীতি দেখে সহ্য করতে হচ্ছে, যা কষ্টদায়ক।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী কাজী আজিজুর রহমান বলেন, কাজটিতে শ্রমিক বাড়ীয়ে দ্রুত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। রাতে চুয়াডাঙ্গায় ফেরার সময় তারও গাড়ি কাদায় আটকে গিয়েছিল বলে  তিনি এ প্রতিবেদককে জানান।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মঞ্জুরুল করিম জানান, কাজটিতে তদারকি বাড়াতে হবে। এখানে দায়সারা কাজের কোনো সুযোগ নেই। এটা গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //