তিস্তার পানি আবারও বিপৎসীমার কাছাকাছি

ভারী বর্ষণ ও উজানের অব্যাহত ঢলে আবারও তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। এখনো পানিবন্দি রয়েছেন চর এলাকাসহ নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার।

গতকাল রবিবার (২ জুলাই) ভোর থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বাড়তে থাকে। আজ সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ১৫সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পানি বেড়ে সকাল ৯টায় বিপৎসীমার কাছাকাছি মাত্র ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। তবে দুপুর ১২টা থেকে পানি প্রবাহ কিছুটা কমে বিপৎসীমার ১০সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে পানি বেড়েছে ধরলা নদীতেও।

এর আগে গত শুক্রবার সকাল ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরে ওইদিন বেলা বাড়ার সাথে সাথে পানি কমে বিপৎসীমার নিচে চলে যায়।

পানির অব্যাহত উঠানামায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতিসহ পার্শ্ববর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তি এলাকা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার বাড়ি ঘরে এখনো পানি রয়েছে। কোথাও কোথাও পানিতে ডুবে আছে রাস্তা ঘাট। তলিয়ে গেছে বাদাম, আমন বীজতলা ও সবজি খেত। 

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ভাঙন সম্ভাব্য এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। ঈদের আগে জেলার বন্যা কবলিত ইউনিয়নগুলেতে ৩০০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া। যা  বিতরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে বলেও তিনি জানান।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //