উজানের অব্যাহত ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি আজও বিপৎসীমার কাছ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানিবন্দি হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) ভোর রাতে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়ে যায়। পরে সকাল ৬টায় ওই পয়েন্টে পানি প্রবাহ বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে রেকর্ড করা হয়। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে পানি প্রবাহ কমে সকাল ৯টায় থেকে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানির অব্যাহত উঠানামায় জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতিসহ পার্শ্ববর্তী রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার তিস্তা তীরবর্তি এলাকা, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারীর চর খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। কোথাও কোথাও পানিতে ডুবে আছে রাস্তা ঘাট। তলিয়ে গেছে বাদাম, আমন বীজতলা ও সবজি খেত।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ভাঙন সম্ভাব্য এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, আবারও বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে পানি। ঈদের আগে ও পরে জেলার বন্যা কবলিত ইউনিয়নগুলোতে ৩০০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি রয়েছে বলেও তিনি জানান।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh