ভাঙন আতঙ্কে তিস্তা ও ধরলা পাড়ের মানুষ

তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি কমে যাওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিস্তা ও ধরলা নদীর বেশ কয়েকটি পয়েন্টে দেখা দিয়েছে ভাঙন।

এদিকে নদীর পানি কমলেও তিস্তা ও ধরলা চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের কয়েক শত পরিবার এখনো পানিবন্দি রয়েছেন। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, বন্যার পানিতে এখনো তলিয়ে রয়েছে ৮০০ হেক্টর জমির ফসল। 

গত এক সপ্তাহ থেকে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এখনো তিস্তা চরাঞ্চল বেষ্টিত গ্রাম কালিগঞ্জ উপজেলার শৌলমারী, ভোটমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোঁচা, গোবর্ধন, সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ, কাল মাটি গ্রামের কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি রয়েছেন। 

এদিকে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। তিস্তার বাম তীরে সদর উপজেলার চর গোকুন্ডা, আদিতমারী উপজেলার কুটিরপাড়, চন্ডিমারী, বালাপাড়া এলাকায় নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি বসতবাড়ি ও বেশ কিছু ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।

অপরদিকে ধরলার পানি কমতে থাকায় সেখানেও বেড়েছে নদীভাঙন। কুলাঘাট ও মোগলহাট ইউনিয়নের বুমকা, বোয়ালমারী, খারুয়ারচর, কুলাঘাট, শীবেরকুঠিসহ সাতটি পয়েন্টে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে আবাদি জমি, বসতভিটাসহ বিভিন্ন স্থাপনা। নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে। 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা জানান, বৃষ্টিপাত না হওয়া আর উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসা বন্ধ হওয়ায় দ্রুত কমেছে তিস্তা নদীর পানি। প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে নদীর পানি নামতে শুরু করেছে। এখনো বেশ কিছু এলাকার ঘর-বাড়িতে বন্যার পানি রয়েছে। তবে আপাতত লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির কোনো শঙ্কা নেই বলেও তিনি জানান। 

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক বন্যার খোঁজ রাখছি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //