‘ইতিবাচক মনোভাবে পার্বত্য সংকট সমাধান করতে হবে’

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার বলেছেন, ‘উদার, পরিচ্ছন্ন মন আর সদিচ্ছা নিয়ে এগিয়ে আসলে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা দ্রুত সমাধান করা সম্ভব। এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে ঝুলিয়ে রাখলে হবে না। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে নিয়ে পার্বত্য সমস্যা সমাধান করতে হবে।’

আজ বুধবার (৯ আগস্ট) রাঙ্গামাটিতে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সভায় জনসংহতি সমিতির সহ-সভাপতি ঊষাতন বলেন, ‘রাষ্ট্র আদিবাসী স্বীকৃতি দূরে থাক উল্টো আমাদেরকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করছে। আমাদেরকে অযথা সন্দেহ করবেন না। আমরাও এই দেশের সার্বভৌম ভূখণ্ডে নিজেদের আত্ম-মর্যাদা সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে দুমুঠো ভাত খেয়ে শান্তিতে বসবাস করতে চাই।’

বুধবার রাঙ্গামাটিতে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে। সকালে রাঙ্গামাটি পৌরসভা চত্বরে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চল শাখার সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনুপম বড়ুয়া শংকর, এমএন লারমা মেমোরিয়েল ফাউন্ডেশনের সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য চঞ্চু চাকমা, আইনজীবী অ্যাডভোকেট ভবতোষ দেওয়ান, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা শাখার সহ-সভাপতি তপন কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইন্টুমনি তালুকদার।

আলোচনা সভার আগে বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এরপর মনোজ্ঞ নৃত্য পরিবেশন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে বৃষ্টিকে অপেক্ষা করে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি পৌরসভা প্রাঙ্গণ  থেকে শুরু হয়ে জেলা শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে পাহাড়ি শিশু, নারী-পুরুষরা নিজস্ব পোশাকে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।

সভায় ঊষাতন তালুকদার আরো বলেন, অস্ত্র জমা দিয়ে ১৯৯৭ সালে এ সরকারের অধীনে পার্বত্য চুক্তি করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় চুক্তির ২৫ বছর পেরিয়েও পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। অথচ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান রাষ্ট্রের পক্ষ হয়ে জাতিসংঘ ফোরামে গিয়ে বলছেন চুক্তি নাকি ৬৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে।