নেত্রকোণায় পুলিশের এএসআইয়ের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ

নেত্রকোণায় গৃহবধূ ঝর্ণা আক্তারকে হত্যার অভিযোগে পুলিশের এএসআই ফিরোজ খানসহ আসামিদের দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকালে নেত্রকোণা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা বাজারে এই কর্মসূচি পালন করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেলার পূর্বধলা উপজেলার আগমারকেন্ডা গ্রামের আলম খানের সাথে তার চাচাত ভাই খোয়াজ খানের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনার জেরে গত ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুপক্ষের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের খোয়াজ খানের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলম খানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার, ছেলে তামিম, ভাই পাপন, ভাইয়ের ছেলে মাহাবুব ও সাকিবকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোণা জেলা সদর হাসপাতালে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন রাত ১১টার দিকে ফের আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে ঝর্ণাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন। তাকে প্রথমে নেত্রকোণা জেলা সদর হাসপাতাল পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরদিন ২৮ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝর্ণা আক্তার মারা যান।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই নেত্রকোণা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা গ্রামের রুহুল আমিন বাদী হয়ে পূর্বধলা থানায় অভিযুক্ত পুলিশের এএসআই ফিরোজ খাঁসহ (মারা যাওয়া ঝর্ণার চাচাত দেবর) ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার আসামি এএসআই ফিরোজ খাঁকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মামলার চার্জশিট থেকে আসামি পুলিশ সদস্য ফিরোজ খাঁকে বাদ দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। মামলার বাদীকে আসামি পক্ষ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। মামলাটির ন্যায় বিচার পেতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান বক্তারা।

এসময় বক্তব্য রাখেন- মারা যাওয়া ঝর্ণার স্বামী আলম খাঁ, নিহতের বড় ভাই নুরুল আমিন, বাংলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাফিজা আক্তার, হাজী মো. আব্দুল জলিল, উজ্জ্বল নাগ, রানা সরকার, নিহতের মেয়ে আনিকা আক্তার, ছেলে তামিম খাঁ প্রমুখ।

পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় গত ২৯ মার্চ নিহতের ভাই রুহুল আমিন বাদী হয়ে খোয়াজ খাঁ, ফিরোজ খাঁ, আরমান খাঁ, সিরাজ খাঁ ও আবু বক্করসহ ৯ জনকে আসামি করে পূর্বধলা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত চলছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নেত্রকোণা পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমদ বলেন, এরমধ্যে মামলাটির তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে। আমরা মেডিক্যাল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এটি গতকাল পেয়েছি। খুব দ্রুত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হবে।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //