লক্ষ্মীপুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করার দায়ে ফারুক মুন্সি নামে এক ইউপি সদস্যসহ ৭ আসামিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ রায় দেন।
এর আগে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারধরসহ একাধিক অভিযোগে ১ মে সোমবার কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন এলাকার বেলাল হোসেনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ওই সাত আসামির নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন- স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক মুন্সি, বাবুল মুন্সি, জিসান, তারেক, আনোয়ার, রাজু ও সোহরাব।
আদালত ও এজাহার থেকে জানা যায়, বিভিন্ন সময় বাদী তাহমিনা ও তার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। তার বসতঘর নির্মাণে বাধা দিয়ে একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও বাদী ও তার পরিবারের লোকজনের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেন আসামিরা। এসময় স্থানীয় বাজারে বাদীর পরিবারের সদস্যরা গেলে ৫ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে তাদের উপর হামলা চালায় আসামিরাসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় কমলনগর থানায় বাদী মামলা দায়ের করলে ১ মে সোমবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন আসামিরা। এসময় উচ্চ আদালত থেকে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তথ্য গোপন রেখে ১১ জুলাই সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন নেন অভিযুক্তরা। পরে বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ রায় দেন।
মামলার বাদী তাহমিনা আক্তার জানান, আসামিরা জামিনে বের হয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের অপরাপর সদস্যসহ মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের হুমকি দেন। তিনি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেন।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ইয়াছিন আরাফাত বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য ও তথ্য গোপন রাখার দায়ে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : লক্ষ্মীপুর আদালত আসামি মামলা
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh