গাইবান্ধায় হত্যা মামলার আসামি গণধোলাইয়ে নিহত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বালুখোলা গ্রামের চাঞ্চল্যকর শিশু বায়েজিদ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সিরিকুল ইসলাম (৫০) গণধোলাইয়ে নিহত হয়েছেন।

নিহত সিরিকুল ইসলাম পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের বালুখোলা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানায়, গতকাল শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত ৮ টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ঘোড়াবান্ধা চৌরাস্তা বাজারে মুকুলের হোটেলে বালুখোলা গ্রামের শিশু বায়েজিত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সিরিকুল ইসলাম অবস্থান করছেন। এমন খবর পেয়ে বালুখোলা গ্রামের উত্তেজিত নারী-পুরুষ ঘোড়াবান্ধা চৌরাস্তা বাজারে উপস্থিত হয়ে হোটেল থেকে সিরিকুল ইসলামকে টেনে বের করে গণধোলাই দেন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ ফেলে চলে যান তারা।

পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে সিরিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। 

পলাশবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত ) দিবাকর অধিকারী জানান, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

উল্লেখ্য গত (৮ মে) বিকেলে উপজেলা মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুক ঘোড়াবান্ধা বালুখোলা সৌদি প্রবাসী তাহারুল ইসলাম ব্যাপারীর ছেলে শিশু বায়েজিদ মিয়া (৪) বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ৬ দিন পর এলাকার একটি ধানক্ষেত থেকে বায়েজিদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

সে সময় বায়েজিদের মা রাহেনা বেগম অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী সিরিকুলের ছেলে রোমান এলাকার চিহ্নিত চোর। রোমানের পরিবারের পক্ষ থেকে তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এতে রাজি না হওয়ায় রোমান বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। এরই জেরে তার ছেলে বায়েজিদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় শিশুর মা রাহেনা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার অন্যতম আসামি সিরিকুল ইসলামকে গত ২৬ মে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে মুক্তি পেয়ে এলাকায় ফিরে আসেন।

এ মামলার রোমানসহ অন্যান্য আসামিরা হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।