ঘূর্ণিঝড়ে আশঙ্কার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের জানান, কক্সবাজারে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল বাস্তবে তার চেয়ে আরো অনেক বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার জন্য সরকার জনগণের পাশে রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দানের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে চাহিদাপত্র চাওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার পৌরসভার কুতুবদিয়াপাড়া, সমিতিপাড়া, নুনিয়ারছড়া ও সদরের নিকটবর্তী খুরুশকুল ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দুর্গতদের ত্রাণ ও ঢেউটিন উপহার দেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

ডা. এনামুর রহমান আরো বলেন, বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিপর্যয়ের কারণে জেলায় এখনো অচলাবস্থা বিরাজ করছে। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল করার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ইতোমধ্যে বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে জেলার ৯ উপজেলার জেলার ৭১টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় ৪২ হাজার ৯৫৯টি বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাড়িঘরের সংখ্যা পাঁচ হাজার ১০৫ এবং আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৩২ হাজার ৭৪৯টি বাড়ি।

এতে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জেলার প্রায় পাঁচ  লাখ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৩৫৪টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে, বিকল হয়েছে ২৩টি ট্রান্সফরমার।

এছাড়াও ৪৯৬টি স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে, প্রায় ৮০০টি স্থানে গাছ পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যে কারণে এখনো মহেশখালী কুতুবদিয়াসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেটসেবা চালু করা যায়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ টাকা ও ঢেউটিন বিতরণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //