৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫০ এর অধিক রোগী। গত ৪ মাস হলো উদ্বেগজনক হারে ডায়রিয়া, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট ও এ্যাজমা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হয়েছে এ অবস্থা । ধারণ ক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ রোগী বেশি হওয়ায় সেবা দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত বয়স্ক ও শিশুরা।
সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের আউটডোরে ডাক্তারদের চেম্বারে সেবা নিতে আসা রোগীদের উপচে ভরা ভিড়, প্রতিদিন আউটডোরেই ৪ শতাধিক রোগীকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও জরুরি বিভাগ, পুরুষ ওয়ার্ড ও শিশু ওয়ার্ডে রোগীদের প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ্য করা যায়। এমনকি রোগীরা মেঝে ও বারান্দা ও করিডোরে শুয়ে আছে, তিল ধারণের ঠাই নেই। অন্যদিকে দেখা মেলে, জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন ৩০-৪০ রোগী ভর্তি হচ্ছে, যা ওয়ার্ডের ধারণক্ষমতার তিনগুণেরও বেশি। বিভিন্ন বয়সের বেশিরভাগ রোগী কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। বর্তমানে ১৪ জনডেঙ্গু রোগীও ভর্তি আছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে প্রতিদিন বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে ৫০ জন রোগী ভর্তি করা হচ্ছে যার ফলে শয্যা সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।
সেবা নিতে আসা শৈলকূপা পৌর এলাকার মাঠপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, আমার ডেঙ্গু হয়েছে। আজ ২দিন হাসপাতালের বারান্দায় শুয়ে সেবা নিচ্ছি। কোন বেড ফাকা নেই।
এ উপজেলার সিদ্ধি গ্রামের দীপা খাতুন বলেন, আমার শিশুর ঠান্ডা জ্বর ও কাশি হয়েছে তাই হাসপাতালে এনেছি ডাক্তার দেখাতে। রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এভাবে গাদাগাদি করে মেঝেতে সেবা নিতে হচ্ছে।
ডায়রিয়া আক্রান্ত এক শিশুর পিতা বলেন, কয়েকদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। শীত বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে আমার শিশুর ডায়রিয়া শুরু হয়েছে।
মেডিকেল অফিসার আরিফুর রহমান বলেন, বর্তমান ১৪ জন ডেংগু ও ১৬জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ছাড়াও ১৫০ এর অধিক রুগী ভর্তি রয়েছে এখানে। বেশকিছুদিন ধরে এমন রোগীর চাপ দেখা যাচ্ছে। বর্তমান হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দিয়েছে।
শৈলকুপা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহফুজা খাতুন বলেন, শয্যার সংকুলান না হওয়ায় এভাবে মেঝেতে সেবা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। সত্যিই সঠিক সেবা দিকে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরও সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh