বিক্রি হলো না ৪ কেজি ওজনের মোরগ দুটি

শেরপুর জেলা শহরের নবীনগর কাঁচা বাজারে ৪ কেজি ওজনে দুটি মোরগ নিয়ে আসেন এক বিক্রেতা। তবে শেষ পর্যন্ত মোরগ দুটি বিক্রি করতে না পয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ওই বিক্রেতা।

জানা গেছে, শেরপুর সদর উপজেলা চর শেরপুর ইউনিয়নের জুগনি বাগ গ্রামের তারা মিয়া বিদেশি টার্কি, তিতি ও কক জাতের মুরগির খামার করেছেন। সেই খামারের ১৫/২০টি মুরগি ও মোরগ বিক্রি না করে আলাদা করে রেখে বড় করেন। এক পর্যায়ে মোরগ-মুরগিগুলো ৯ মাস পেরিয়ে গেলে সেগুলোর ওজন প্রতিটা ৩ থেকে ৪ কেজি হয়।

আজ শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দুটি মোরগ শহরের ঐতিহ্যবাহী নবীনগর বাজারে নিয়ে আসেন। কিন্তু মোরগ দেখে দাম জিজ্ঞেস করে চলে যায় ক্রেতারা। তবে একজন ১৩০০ টাকা করে দাম করলেও বিক্রেতা বিক্রি করেননি।

মোরগগুলো দেখতে দেশি মনে হলেও আসলে তা পাকিস্তানি কক জাতের বলে জানান তিনি। এদিকে লাল টকটকে বিশালাকার মোরগ দেখতে বাজারের অসংখ্য মানুষ ভিড় জমায়। কেউ কেউ আবার মোরগের গা হাতিয়েও দেখেন।

তারা মিয়া জানান, মুরগির চেয়ে মোরগ দেখতে খুবই সুন্দর ও অনেক বড় দেখতে। তাই মোরগগুলোই বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানায়, এ মোরগ বড় করতে আমার যা খরচ হয়েছে সে তুলনায় ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি করা উচিত। কিন্তু অন্যান্য মুরগির বাজার দর ছাড়া কেউ কিনবে না বিধায় কম দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। 

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //