পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২১ পিএম
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন স্থানীয়রা। আজ রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় ভুক্তভোগীরা ইউএনও শরীফুল আলমের নিকট এই অভিযোগ জমা দেন।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, টাকাহারা এলাকাটি দেবীডুবা ইউনিয়নের সুলতানপুর মৌজার অন্তর্ভুক্ত। সম্প্রতি সুলতানপুর মৌজার ২৪৫৪ ও ২৪৫৬ দাগে সাত দশমিক ৬৮ একর এলাকা দেবীডুবা ঘাটের (বালুমহাল) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে এই ঘাটটি এবার ইজারা দেওয়া হয়নি। ইজারা কিংবা খাস আদায়ের অনুমতি দেওয়া না হলেও সম্প্রতি এই এলাকা থেকে টাকাহারা এলাকার আহসান হাবিব মিলন, মোস্তাকিম ইসলাম ও শালডাঙ্গার ইউপি সদস্য নিরঞ্জন রায় বালু উত্তোলন করে বিক্রি শুরু করেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে ওই এলাকার কেন্দ্রীয় কবরস্থান, বিষ্ণু মন্দির, শ্মশান ঘাট, বৈদ্যুতিক পিলার, বাদিয়া টিকরি (দ্বীপ সদৃশ) ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, সুলতানপুর মৌজার করতোয়া নদীর তীরে বাদিয়া টিকরি। টিকরির চারদিকে করতোয়ার শাখা নদী বয়ে যাওয়ায় এ অংশটি অনেকটা দ্বীপ সদৃশ। সেখানে দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করে আসছেন ১২টি পরিবার। টিকরির উত্তর অংশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে এটি অদূর ভবিষ্যতে ভাঙনের মুখে পড়ে বাস্তুহারা হওয়ার আশঙ্কা করছে পরিবারগুলো।
এদিকে প্রশাসন দেবীডুবা ঘাট থেকে খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত না নিলেও প্রায় দুই সপ্তাহ থেকে তেলীপাড়া ঘাট ইজারাদারের রশিদ দিয়ে বালু বিক্রি করা হচ্ছে। এর জন্য প্রতি ট্রাক্টর বালু ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। এতে জনবসতির ক্ষতির পাশাপাশি সরকার মোটা অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে।
বাদিয়া টিকরির বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, গুটি কয়েক ব্যক্তির স্বার্থে প্রশাসন এখানে বালু তোলার অনুমতি দিয়েছে। এভাবে বালু তোলার ফলে তাদের ঘরবাড়ি গাছপালা ভাঙনের হুমকিতে পড়ছে। তিনি বালু তোলা বন্ধ করে গ্রামটিকে রক্ষার অনুরোধ করেন।
স্থানীয় মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ বলেন, ওখানে বালু তোলার ফলে নদীর তীরে থাকা কবরস্থান ভাঙনের মুখে পড়বে। আমরা বালু উত্তোলন বন্ধ করার জন্য মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছিলাম।
বালু উত্তোলনে অভিযুক্ত মিলন বলেন, ইজারাদার নূরে আজাদ ও তার পার্টনার জুয়েল চৌধুরীর হয়ে আমরা বালু উত্তোলন করছি।
এই বিষয়ে জানতে ইজারাদার জুয়েল চৌধুরীকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুল আলম লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
বিষয় : পঞ্চগড় দেবীগঞ্জ করতোয়া নদী লিখিত অভিযোগ বালু উত্তোলন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh