ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস কক্ষ ভাঙচুর

চাঁদা না দেওয়ায় ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বার্হী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিনের অফিস কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে তুষার পারভেজ নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে পৌর সম্মেলন কক্ষে মেয়র কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। এসময় অফিসের ফাইলপত্র তছনছ করে ছিঁড়ে ফেলে রেখে যায়। গত রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে তৃতীয় তলায় অবস্থিত নির্বার্হী প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে ঢুকে এ তাণ্ডব চালায় বলে তিনি জানান।

তিনি জানান, গত ১৮ ডিসেম্বর সকালে পৌরসভার পৌর সার্ভেয়ার মো. শরিফুল ইসলাম ও চেইনম্যান মো. সাগর হোসেন ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলাউদ্দিন জোয়ার্দারের (লাড্ডু) সাথে শিকারপুর গ্রামে সরকারি রাস্তার সীমানা নির্ধারণের জন্য যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে কালিকাপুর বটতলা স্থানে গেলে তুষার পারভেজ তাদের গতিরোধ করে চড়াও হন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ খুন কারার হুমকি দেন এবং শারীরিকভাবে তাদের আঘাত করে আহত করেন। এরই প্রেক্ষিতে তার সহযোগী ৩-৪ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ থানায় এজাহার দায়ের করা হয়। এরপর ২৪ ডিসেম্বর আদালত থেকে জামিন পেয়ে বিকেলে তুষার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল উদ্দিনের কক্ষে প্রবেশ করেন এবং উচ্চ স্বরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এরপর নির্বাহী কর্মকর্তা কোথায় জানতে চান এবং পৌর নির্বাহী কর্মকর্তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তারপর নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন।

তিনি আরও জানান, এসময় নির্বাহী প্রকৌশলী চাঁদা দিতে অসম্মতি জানান। এসময় তুষার চাইনিজ কুড়াল বের করে নির্বাহী প্রকৌশলী ও কক্ষে থাকা অফিস স্টাফ মো. আব্দুর রহমান (রিপন) সহকারী কর নির্ধারকদের মাথায় কোপ মারতে চেষ্টা করেন। এসময় তারা দ্রুত পার্শ্ববর্তী কক্ষে প্রবেশ করে আত্মরক্ষার্থে দরজা বন্ধ করে দেন। এই সুযোগে তুষার ও তার সহযোগীরা আসবাবপত্র ভাঙচুর, কম্পিউটার সেট, চেয়ার, টেবিল, প্রিন্টার ও গ্লাস ভেঙ্গে রেখে যান।

পৌর মেয়র বলেন, এসময় তারা রক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র তছনছ করে ছিঁড়ে ফেলে রেখে যান। তারা নির্বাহী প্রকৌশলীর টেবিলের ড্রয়ারে থাকা নগদ ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা লুট করে নিয়ে যান। আমার নামে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে পৌরসভা ভবন ত্যাগ করেন। এ কারণে আমরা শঙ্কিত ও আতঙ্কিত বলেও জানান তিনি।

ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুস্তাক আহমেদ জানান, এ বিষয়ে ঝিনাইদহ থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকারি ছুটি ও পৌরসভার কাজে মেয়র খুলনায় থাকায় বিষয়টি আজ সাংবাদিকদের জানানো হয়েছে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহীন উদ্দিন জানান, থানায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তুষার পারভেজের নামে থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।